পর্যটন আকর্ষণ

পর্যটন (ইংরেজি: Tourism) এক ধরনের বিনোদন, অবসর অথবা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থান কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বুঝায়। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী অবসরকালীন কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যিনি আমোদ-প্রমোদ বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে অন্যত্র ভ্রমণ করেন তিনি পর্যটক নামে পরিচিত। ট্যুরিস্ট গাইড, পর্যটন সংস্থা প্রমূখ সেবা খাত পর্যটনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – উভয়ভাবেই জড়িত রয়েছে। ২০১০ সালে ৯৪০ মিলিয়নেরও অধিক আন্তর্জাতিক পর্যটক বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করেন। ২০০৯ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ৬.৬% বেশী ছিল।[৮] ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটনে ৯১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬৯৩ বিলিয়ন ইউরো।

ইতোমধ্যে পর্যটন বিশ্বব্যাপী একক বৃহত্তম শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পর্যটন শিল্পের নতুন নতুন পর্যটন গন্তব্য চিহ্নিত হওয়ার পাশাপাশি সেসকল স্থানে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যর প্রসার, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানিযোগ্য শিল্পপণ্য হিসেবে জ্বালানি ও রাসায়নিক শিল্পপণ্যের পরেই তৃতীয় সারিতে উঠে এসেছে পর্যটন। পৃথিবীর অনেক দেশে প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্য হিসেবে এবং মোট জাতীয় আয়ে অবদানের ক্ষেত্রে এ শিল্পের অবস্থান প্রথম কাতারে উন্নীত হয়েছে।  অনেক দেশ শুধু অভ্যন্তরীণ পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়ে জাতীয় অর্থনীতি সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে।

পর্যটন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আমাদের রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, হাজার বছরের প্রাচীন পুরাকৃর্তি, ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, জাতিগত বৈচিত্রতা, সমৃদ্ধ হস্ত ও কুটির শিল্প আরো রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, জীব-বৈচিত্র্য, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত-কক্সবাজার, সবুজ পাহাড় ঘেরা পার্বত্য অঞ্চল, বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা। বাংলাদেশ তার উষ্ণ আতিথেয়তা, শিল্পকলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। সর্বোপরি, বাংলাদেশ বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি। এ সব পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরার জন্য প্রয়োজন তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রচার ব্যবস্থা। পর্যটনের প্রচারে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটন শিল্পে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পর্যটন খাতের আয় বদলে দিতে পারে দেশের চেহারা। পাঁচ বছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সাল নাগাদ জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১ হাজার ৯৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এটা হবে বৈদেশিক আয়ের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময় পর্যটন খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ লাখ ৯১ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ২০১২ সালে শুধু পর্যটন শিল্প দিয়ে ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার রাজস্ব আয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও পর্যটন করপোরেশনের তথ্যে জানা গেছে, পর্যটন খাত থেকে ১৯৯৯ সালে ২৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা আয় আসে। ২০০৯ সালে পর্যটক আসে ১ লাখ ২৯ হাজার এবং এ খাতে আয় তিন গুণ বেড়ে ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজারে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, তিন বছরে গড়ে পাঁচ লাখ পর্যটক এসেছে বাংলাদেশে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন লিংকেজ সেক্টর, যেমন- পরিবহন, হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, রিসোর্ট, এয়ারলাইন্সসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে প্রচুর রাজস্ব আয়েরও নিশ্চয়তা রয়েছে। পর্যটন করপোরেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবাসন সুবিধা, অবকাঠামো সংস্কার, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যটন খাত অন্যতম সমৃদ্ধশালী শিল্পে পরিণত হবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্যই বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে।

বাংলাদেশে অসংখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে। শীর্ষ ২০টি স্পটে পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সবার আগে উঠে আসে কক্সবাজারের নাম। এরপর সুন্দরবন। এ ছাড়া কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন, সোনার চর, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মাধবকুণ্ড, জাফলং, ময়নামতি শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে পর্যটকরা ভিড় করেন বেশি। মধুপুর গড়, ভাওয়াল গড়, শেরপুরের গাজনী, গারো পাহাড়ি জনপদ মধুটিলা, বিরিশিরি এলাকাও চমৎকার পর্যটন স্পট। ইকো পার্ক ও সাফারি পার্কগুলোও পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বান্দরবানের নীলাচল ও খাগড়াছড়ির সাজেক হিল রিসোর্ট অন্যতম পর্যটন মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহঃ-

#চট্টগ্রাম বিভাগ

১)পতেঙ্গা সৈকত

২)চট্টগ্রাম শহরের ফয়েজ লেক

৩)কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

৪)সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ

৫)রাঙামাটি পার্বত্য জেলা

#খুলনা বিভাগ

১)সুন্দরবন

২)ষাট গম্বুজ মসজিদ

#বরিশাল বিভাগ

১)কুয়াকাটা

২)তারুয়া সমুদ্র সৈকত

#ঢাকা বিভাগ

১)লালবাগ কেল্লা

২)আহসান মঞ্জিল

৩)শহীদ মিনার

৪)জাতীয় সংসদ ভবন

#রাজশাহী বিভাগ

১)সোমপুর বৌদ্ধবিহার

২)বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

৩)বাঘা মসজিদ

৪)মহাস্থানগড়

#রংপুর বিভাগ

১)রামসাগর

#সিলেট বিভাগ

১)জাফলং

২)মাধবকুন্ড জলপ্রপাত

বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাময় ভ্রমণ কিংবা পর্যটন খাতের সাথে সম্পর্কিত সেবা সমূহ নিয়া অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজ করে। সে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো “ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” একটি ভ্রমণ বিষয়ক সেবা প্রদানকারী সংস্থা। আমরা মূলত ভ্রমণ সংরান্ত সেবা সমূহ নিয়া কাজ করি। দীর্ঘদিন ধরে নিরঙ্কুশ ভাবে সকল প্রকার পর্যটক কিংবা ভ্রমণ পিয়াসু মানুষদের উক্ত বিষয়ে বিভিন্ন সেবা এবং পরিশেবাদি প্রদান করার মধ্য দিয়ে আজ আমরা বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ট্র্যাভেল বিষয়ক সেবা প্রদান কারী সংস্থার সম্মান অর্জন করতে পেরেছি। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক অবস্থানে নিয়ে যেতে ছাই এবং আমরা সেই লিক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

যেকোনো সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুণ।

ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড  বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,

হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,

ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।

মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯০– ৯১