বাংলাশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ঢাকা সব থেকে গুরূত্বপূর্ণ জেলা। যা স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানি হিসাবে স্বীকৃত।১১০০খ্রীষ্টাব্দের দিকে এশহরের গোড়া পওন হয় মোঘলদের হাত ধরে।তখন কার সময়ে শহরটি ব্যবসা বাণিজ্যের এক অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু ছিলো।বুড়ি গঙ্গা আর তুরাগ নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠা শহর টি আজ কোটি মানুষের প্রানের শহরের দাবিদার।
নাম করনের ইতিহাস:
১৬১০ খ্রীষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবা বাংলার রাজধানি রাজমহল থেকে ঢাকাতে স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামনুসারে এ অঞ্চলের নাম করণ করা হয় জাহাঙ্গীর নগর। পরবর্তীতে এর নাম হয় ঢাকা।
ঢাকা জেলার নাম করণের সঠিক ইতিহাস আজ অবদি জানা সম্ভব হয়নি।কথিত আছে যে,সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দূর্গার বিগ্রহ কুজে পান।দেবী দূর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বাহ গুপ্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাই রাজা মন্দিরের নামকরণ করেন ঢাকেশ্বরী মন্দির।পরবর্তীতে সেই মন্দিরের নাম থেকেই ঢাকা নামের উৎপওি ধরা হয়।
আবার অনেক ঐতিহাসিকদের মতে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজদানী হিসাবে ঘোষণা করেন, তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিপ্রকাশ স্বরূপ শহরে ‘ঢাক’ বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে প্রচলিত রূপ ধারণ করে এবং পরবর্তীতে এই থেকেই ঢাকার নাম করণ করা হয়।এছাড়াও আরো অনেক ঐতিহাসিক ব্যক্তি এবং প্রচলিত কথা রয়েছে ঢাকার নাম করণের ব্যপারে।
ইতিহাস ঐতিহ্য:
বর্তমান ঢাকা শহর পূর্বে ‘বঙ্গ’ অঞ্চল নামে পরিচিত ছিলো।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজা বাদশারা এ অঞ্চলটি শ্বাসন করেছে।ঢাকা শহর মোঘলেদের হাত ধরে উৎপওি হওয়াতে ইতিহাস ঐতিহ্যের দিক থেকে এই শহরটি অালাদা জৌলস পূর্ণ।ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মাদ বখতিয়ার খিলজী এ অঞ্চলে সেনা রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম রাজত্বের সূচনা করে। তাই এখনো ঢাকা শহরে আদি স্থাপনা,খাবার,পোশাক পরিচ্ছদে সে সময়কার ছাপ দৃঢ় ভাবে পরিলক্ষিত হয়। ১৬৪৫ এর দিকে দীউয়ান মীর আবুল কাশিম বুড়িগঙ্গার তীরে এক সুবিশাল ইমারত স্থাপন করে। যা বর্তমানের চকবারে নামে পরিচিত। তখনকার সমসাময়িক সময়ে বিভিন্ন দিক থেকে ঢাকার প্রবেশ দারে কিছু মোঘলীয় গড়নার আকৃতি বিশেষ গেইট বানানো হয়। বর্তামান পুরাতন হাইকোর্টের পশ্চিমে ময়মনসিংহ রোড়ের গেইটি তাদের মধ্যে অন্যতম।তাছাড়া বিভিন্ন শ্বাসক গোষ্টী ঢাকা শহরে বিপুল পরিমান মসজিদ নির্মান করেন।যার কিছু কিছু একখো অবশিষ্ট রয়েছে।
দর্শনীয় স্থান:
ঢাকা অতিপ্রচীন শহর হওয়ায় কালের বিবর্তনে বিভিন্ন শ্বাসন আমলে অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে।যা বর্তামানেনে মানুশের ভ্রমন বাহ দর্শেন জন্য আদর্শ জায়গা হিসাবে পরিচিত। এতিহাসিক বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও ঢাকা শহরে বর্তামান সময়ের তৈরি অনেক স্থাপনা রয়েছে যা ঢাকা শহরে আগন্তুক ভ্রমন পিয়াসু মানুষদের চাহিদা মেটায়।
ঢাকা জেলারর উল্লেখ যোগ্য কিছু স্থাপনা বাহ স্থান হলো:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার
রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
ঢাকা শহরে অধিক মানুষের শহর হওয়াত এখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা ধীরগতির।তবে ঢাকা শহরের প্রতিটা প্রান্তেই সরকারি কিংবা ব্যক্তিমালিকানধীন বাসে করে যাতাযাত করা যায়।তাছাড়া ঢাকার অভ্যন্তরে ভাড়ায় চালক সিএনজি,প্রাইভেটকার,রিক্সা রয়েছে।বর্তানে প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এ্যপস ভিওিক রাইট শেয়ারিং সেবা গুলোও ঢাকা শহরে বিদ্যমান।তবে একথা অনস্বীকার্য যে, ঢাকা শহরে রাস্তা তুলনায় মানুশ এবং গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়া এখানে দীর্ঘ সময় গাড়ির জ্যমে বসে থাকতে হয়।
খাবার ব্যবস্থা:
ঢাকা শহর তার নিজস্ব খাবারে জন্য বিখ্যাত।এখানকার আবহাওয়া অনুযায়ী খাবারে স্বাদেরও ভিন্নতা রয়েছে।ঢাকাই কাবাব,জালি কাবা,গুড়ের সরবত,জাফরানি সরতব,টাকাই কাচ্চি,বিরিয়ানি মানুষের নিকট প্রসিদ্ধ।ঢাকা খাবারে মধ্যে বিভিন্ন জাতের মসলার উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো আর তাই প্রতিটা খাবারের মনোমুগ্ধকর ঘ্রান যে কারোর মন কেড়ে নিবে।মুলত এ অঞ্চলের আদি খাবার গুলো মোঘল শ্বাসন আমল থেকে প্রভাবিত।তা তাছা ঢাকা শহরে প্রচুর পরিমানে রেস্টুরেন্ট,চাইনিজ রেস্টুরেন্ট,ক্যফে রয়েছে।এসব রেস্টুরেন্ট গুলোতো মূলত বাঙ্গালি গড়নের খাবারই বেশি পাওয়া যায়।তবে বিশেষ বিশেষ রেস্টুরেন্ট গুলিতে অন্যান্য দেশের বিখ্যাত খাবার পাওয়া যায়।