মানিকগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত। মানিকগঞ্জে শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটি জেলার পুরাকীর্তির মধ্যে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সিদ্ধেশ্বরীর মন্দিরটি কখন ও কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। কিন্ত্তু উনিশ শতকের শেষের দিকে ও বিংশ শতকের শুরুর দিকে মন্দিরটি বিখ্যাত হয়। জানা যায় যে রানী ভিক্টোরিয়ার আমলে শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
খানে তিন ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট প্রস্তরময় মাঝারি আকারের শ্বেত পাথর শিবের বাহন ষাঁড়, অষ্টধাতুর দুর্গামূর্তি এবং আরও ভাস্কর্যের নিদর্শন পাওয়া যায়। গঠনকৌশলের দিক দিয়ে সিদ্ধেশ্বরীর মন্দিরটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক। মন্দিরটির কেন্দ্রে মা কালীর মূর্তি রয়েছে এবং সুন্দর স্তম্ভ দ্বারা মন্দিরটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু সবগুলোই উনিশশো একষট্টি থেকে বাষট্টি সালের দিকে চুরি হয়ে যায়। বর্তমানে সিমেন্টের সিদ্ধেশ্বরী শিব পূজিত হচ্ছে। শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটির নিজস্ব আয়ের উৎস না থাকায় প্রাচীন মন্দিরে অর্থাভাবে কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি।
মহারানী ভিক্টোরিয়ার আমলে শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। মানিকগঞ্জের শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দির এ জেলার পুরাকীর্তির মধ্যে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট প্রস্তরময় সিদ্ধেশ্বরী মূর্তি, একটি মাঝারী আকারের শ্বেত পাথরের শিবের বাহন ষাঁড় ও অষ্টধাতুর দুর্গা মূর্তি এবং আরো কিছু ভাস্কর্যের নিদর্শন ছিল। কিন্তু সবগুলোই ১৯৬১-৬২ খৃীষ্টাব্দের দিকে চুরি হয়ে গেছে। বর্তমানে সিমেন্টের সিদ্ধেশ্বরী শিব পূজিত হচ্ছে। শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটির নিজস্ব কোন আয়ের উৎস নাথাকায় দীর্ঘদিনের প্রাচীন মন্দির অর্থাভাবে মেরামতের কোন কাজ হয়নি। মন্দিরের ছাদ যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার উপক্রম। বর্তমানে স্থানীয় ১৫ সদস বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে মন্দিরটির ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম চলছে। নিত্য পূজা অর্চনা অনুষ্ঠানের জন্য একজন পুরোহিতকে মাসিক বেতন ও আবাসিক সুবিধার ভিত্তিতে নিয়োগ করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
যেভাবে যাবেনঃ-
মানিকগঞ্জ থেকে শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটির দূরত্ব ৩ কিঃমিঃ। মানিকগঞ্জ শহর থেকে রিক্সাযোগে কিংবা পায়ে হেটে যেতে হয় শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। রিক্সাভাড়া ২০/- টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই।