শেখ রাসেল শিশুপার্ক | ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1307

দীর্ঘদিনের অবহেলিত ফরিদপুর ইতিহাস ঐতিহ্যে শিল্প সাংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হলেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে ছিলো বঞ্চিত। দীর্ঘদিন পর ফরিদপুরের শিশুরা খুজে পেতে যাচ্ছে নির্মল বিনোদন কেন্দ্র পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক । স্বাধীনতার পর শহরের ঝিলটুলি এলাকায় অল্প সংখ্যক জমিতে একটি শিশূ পার্ক নির্মান হলেও যথাযথ পরিচর্যার অভাবে সেটি বেশিদিন টিকে থাকেনি। ৪০ বছর পার করে এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত দাবির প্রতি উদ্যোগী হয়ে প্রবাসীকল্যান মন্ত্রী ইঞ্জি: খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি বিশ্বমানের শিশুপার্ক গড়ে তোলেন। শহরের গোয়ালচামট এলাকায় ১৪ একর জমির উপর নির্মান হচ্ছে ওয়ান্ডারল্যান্ড ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে একটি শিশু পার্ক। এই বিনোদন কেন্দ্রটি দেশের শ্রেষ্ঠ পার্ক নয় বিশ্বমানের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি । ওয়ান্ডারল্যান্ড এর জেনারেল ম্যানেজার এম কুতুবউদ্দিন পাটোয়ারি জানান, প্রায় দুশো কোটি টাকার উপরে ব্যায় করে এই পাকর্টি নির্মান করা হয়েছে।পারিবারিকভাবেই প্রতিটি শিশুকেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য সুস্থ মানসিক বিকাশ ঘটানো দরকার। শুধু টেলিভিশনের পর্দার সামনে শিশুরা বসলেই তার বিকাশ হয় না, এর জন্য প্রয়োজন শিশু পার্কসহ শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। প্রকৃত আনন্দ পেতে হলে অবশ্যই ভালোমানের পর্যটন স্থান বা শিশুদের পার্কগুলোতে যেতে হবে। আর এতে করে একটি শিশুর মানসিক বিকাশ দ্রুত ঘটবে। দীর্ঘদিন ফরিদপুরে শিশুদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো ভালো স্থান ছিল না। শিশু-কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের জন্য ২০১৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। শহরের গোয়ালচামট এলাকায় মোট ১৪ একর জায়গার ওপর নির্মিত পার্কটি। পার্কটির নির্মাণ ব্যয় ২৫ কোটি টাকার বেশি। পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ৩০ থেকে ৩২টি রাইড রয়েছে এই শেখ রাসেল শিশু পার্কে। এর মধ্যে চলন্ত ট্রেন, ভূতুরে গুহা, ওয়ান্ডার হুইল, সুইং কেয়ার, প্যারাট্যুপার উল্লেখযোগ্য।

প্রতিটি উৎসবের জেলা শহরের বাইরে থেকেও প্রচুর দর্শনাথী আসে এখানে। এই শিশু পার্কের প্রবেশ মূল্য প্রথম দিকে একটু বেশি ছিলো পরে সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে প্রত্যেকের নাগালের মধ্যে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন পাশাপাশি ফরিদপুরের এ পার্কে রয়েছে আধুনিক মানের বিভিন্ন রাইড।

কিভাবে যাবেন:-

রাজধানী শহরের সংগে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়াত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশী লাগে।