ফরিদপুর জেলা| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1862

ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার। ফরিদপুর জেলার উত্তরে রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত। সুপ্রাচীন কাল থেকেই ফরিদপুরের রয়েছে অনেক কীর্তিময় গৌরব-গাঁথা। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে।

ভৌগোলিক সীমানা:-

আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার, উত্তরে রাজবাড়ী জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা জেলা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে ঢাকা জেলা, মাদারিপুর জেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

নামকরনের ইতিহাস

ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিঃ ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়। বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ও শরিয়তপুর এই পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:-

ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৪টি, ওয়ার্ড ৩৬টি, মহল্লা ৯২টি, ইউনিয়ন ৭৯টি, গ্রাম ১৮৫৯টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ

ফরিদপুর পৌরসভা

ফরিদপুর সদর উপজেলা

বোয়ালমারী উপজেলা

আলফাডাঙা উপজেলা

মধুখালী উপজেলা

ভাঙ্গা উপজেলা

নগরকান্দা উপজেলা

চর ভদ্রাসন উপজেলা

সদরপুর উপজেলা

সালথা উপজেলা

প্রত্নসম্পদ:-

মথুরাপুর দেউল

পাতরাইল মসজিদ

সাতৈর মসজিদ

শ্রীঅঙ্গন

শিব মন্দির

দোলমঞ্চ

নারায়ণ মন্দির

পঞ্চরত্ন সমাধি

নব-রত্ন সমাধি

দুর্গা মন্দির

কাঁচারি বাড়ি

শিকদার বাড়ি

গেরদা ফলক

ময়েজ মঞ্জিল

অর্থনীতি:-

এই এলাকার অর্থনীতি মুলত পাট কেন্দ্রিক । ফরিদপুর পাট এর জন্য বিখ্যাত । ফরিদপুর বাংলাদেশ এর অন্যতম বড় নদী বন্দর। এখান থেকে পাট নদী পথে সারা দেশে চলে যেত।

কৃতী ব্যক্তিত্ব:-

আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী (সদর সাহেব হুজুর) বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব,লেখক ও গবেষক

আবদুল খালেক – অবিভক্ত ভারতবর্ষের কংগ্রেস নেতা, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক (১৯০০-২০০৩);

অ্যাডভোকেট শামসুল বারি (মিয়া মোহন) ভাষাসৈনিক;

অম্বিকাচরণ মজুমদার – সাবেক সভাপতি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৯২৬-১৯২৮);

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – বাঙালী জাতির স্থপতি;

হাজী শরিয়তুল্লাহ – ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা;

মুন্সি আব্দুর রউফ – বীরশ্রেষ্ঠ;

শাইখুল হাদিস মুফতী আব্দুল গফফার দাঃবাঃ বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার

নবাব আব্দুল লতিফ সমাজ সংস্কারক

আলাওল – মধ্যযুগের কবি;

জসীম উদ্দিন – পল্লিকবি;

কাজী মোতাহার হোসেন – বিখ্যাত লেখক, বিজ্ঞানী, দাবাড়ু, সাবেক জাতীয় অধ্যাপক ;

মনমোহন ভাদুড়ী – স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠক

বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম

বিখ্যাত খাবার:-

খেজুরের গুড়

বিখ্যাত স্থান:-

নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট

রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ)

শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন (hindu temple)

শেখ রাসেল শিশু পার্ক (amusement park)

কিভাবে যাবেন:-

রাজধানী শহরের সংগে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়াত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশী লাগে।