রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি

1867

ইতিহাস ঐতিহ্যের লীলাভূমি মুন্সীগঞ্জ জেলা। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে সমৃদ্ধ হয়ে আছে ঐতিহ্য ও প্রতেœ এ অঞ্চলটি। বিভিন্ন সময়ে এই মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলে বিভিন্ন রাজবংশ রাজত্ব করেছেন। মুন্সীগঞ্জের অনেক ইতিহাস এখনো অনুদ্বারিত বা অবহেলিত। এমনই চাপাপরা ইতিহাস হলো রায়বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি।

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার শেখের নগর গ্রামে রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ির অবস্থান। নিমতলা থেকে যে রাস্তাটি উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে গেছে। সে রাস্তার উত্তর পাশে ইছামতি নদী ও শেখেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ। এ পাড় থেকে ওপাড়ে যেতে একটি সেতু রয়েছে ইছামতি নদীর ওপর। একটি ইট বিছানো সড়ক দিয়ে রাজা শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা। শেখেরনগর রায়বাহাদুর ইনস্টিটিউশন থেকে আধা কিলোমিটার পূর্বে এ বাড়িটি। ছায়া সুনিবির গ্রামের নিভৃতে কয়েক একর জমির উপর এ বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে নিজের অস্তিত্বের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে।

প্রায় দু’শো বছর আগে নির্মিত এ বাড়িটি। বাড়িটির নকশা বর্গাকৃতির। পূর্ব পাশে দ্বিতল দালান ঘরটি ৪০ ২০ ফুটের মতো হবে। উত্তর পাশের একতলা দালানটি ২০ ২০ ফুট হবে হয়তো। পশ্চিম পাশে ২০ ১৫ ফুট এবং দক্ষিণ পাশের একতলা দালানটিতে ২০ ১৫ ফুট আয়তনের হবে হয়তো। বাড়ির পূর্ব ও দক্ষিণ পাশের দুটি পুকুরে শানবাধানো ঘাট রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় রাজা শ্রীনাথ রায়ের সকল পরিবার সদস্যরা কলকাতা চলে যান।

ব্রিটিশ শাসকরা মুন্সীগঞ্জের ধণাঢ্য ব্যক্তি শ্রীনাথ রায়কে ‘‘রাজা’’ ও ‘‘রায় বাহাদুর’’ উপাধী প্রদান করেছিলেন। তিনি দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। বাংলা ২১ শ্রাবণ ১৩২২ সালে বঙ্গেশ্বর লর্ডকারমাইকেল রায়বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়িতে এসেছিলেন। তার আগমনের উদ্দেশ্য ছিল একটি দাতব্য চিকিৎসালয় উদ্বোধন করা।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার দূরত্ব অল্প। বাসে করে খুব অল্প সময়ে মুন্সীগঞ্জ যাওয়া যায়। রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি পৌছাতে হলে মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে সিরাজদিখান উপজেলায় আসতে হবে। বাসে করেই সিরাজদিখান উপজেলায় আসা যায়। সেখান থেকে রিক্সা করে রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি পৌঁছানো যায়।