রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম রামকৃষ্ণ মঠের একটি শাখা এবং রামকৃষ্ণ মিশন নীতিবাক্য মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর ভিত্তি করে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষের মানবিক, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও ত্রাণসামগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে জড়িত। স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা প্রচারিত আত্মতত্ত্ব, আত্মমানো মোকারার্থম জগৎ হিতৈ চাঁয়ের বাণীতে সেবাশ্রম পরিচালিত হয়।
মানিকগঞ্জের পুরাকীর্তির ইতিহাসে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাশ্রম একটি উল্লেখযোগ্য দিক। ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দের সমাজ সচেতন জনগোষ্ঠীর উদ্দীপনায় শ্রী রাধিকা চরণ অধিকারী ওরফে শ্রী স্বামী সুন্দরানন্দজী মহারাজ সেবাশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের মধ্যে মোট দশটি মঠ ও মিশন কেন্দ্রীয় মঠ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়ে আসছে – তার মধ্যে এটি অন্যতম। এখানে সুদৃশ্য পাকা মন্দিরে বিগ্রহের পূজা অর্চনা হয় এবং মন্দির সংলগ্ন ভবনে একটি গ্রন্থগার আছে। বালিয়াটির জমিদার দীনেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরীর পুণ্যস্মৃতির রক্ষার্থে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের জন্য ১৩৩১ সালে একটি পাকা ইদারা নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।
এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান নির্বাহী দায়িত্বে আছেন স্বামী পরিমুক্তানন্দ মহারাজ। প্রতিদিন এখানে পূজাসহ শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ, স্ত্রীমা সারদা দেবী ও স্বামী বিবেকান্দের জন্ম তিথি উৎসব পালিত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুঃস্থ মানুষের পাশে এ প্রতিষ্ঠান দাড়ায়। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হয় এখানে।