নুহাশ পল্লী

1408

কিংবদন্তী কথাসাহিত্যক হুমায়ুন আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে নুহাশ পল্লী প্রতিষ্ঠা করেন। রাজধানীর অদূরে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক দুর্গম এলাকায় নুহাশ পল্লী গড়ে তুলেছেন তিনি। সেখানকার নানা স্থাপনা আর অসংখ্য ফলজ, বনজ গাছের পাশাপাশি তিনি বানিয়েছেন ঔষধি গাছের বাগান। সব মিলিয়ে মনের মতো করেই ছেলের নামে রাখা নুহাশ পল্লীকে এক স্বপ্নজগত করে তুলেছেন হুমায়ূন আহমেদ।


পুরান ঢাকা থেকে যাবার জন্যে গুলিস্তান থেকে কাপাসিয়াগামী ঢাকা পরিবহনের বাস এবং প্রভাতী বনশ্রীর বরমীগামী বাসে উঠতে হবে। মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ/ নেত্রকোনাগামী যেকোন বাসেই আসা যায় তবে এখানে উল্লেখ্য যে, ময়মসিংহের বাস ও প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসগুলো গাজীপুর চৌরাস্তায় অনেকক্ষন দেরি করে কিন্তু সম্রাট লাইন বা রাজদূত বা ডাউন টাউন বা ঢাকা পরিবহনের বাসগুলো যাত্রি নামিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাস থেকে হোতাপাড়া নামতে হবে (গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার)। হোতাপারা থেকে সিএনজি বা লেগুনা বা যান্ত্রিক রিক্সায় নুহাস পল্লীতে যাওয়া যায়।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনাকে গাজীপুর চৌরাস্তা পার হয়ে হোতাপাড়া বাজার যেতে হবে। ঢাকা – ময়মনসিংহ মেইন রোডে এই হোতাপাড়া বাজার। প্রভাতি বনশ্রীসহ অনেক বাস আছে । হোতাপাড়া বাজার থেকে অটো রিক্সাতে করে যেতে হবে নুহাশ পল্লী। ঢাকা থ্বেকে হোতাপাড়া বাস ভাড়া ৫০-৮০ টাকা। আর হোতাপাড়া থেকে নুহাশ পল্লী অটো রিক্সা ভাড়া ৫০-৭০ টাকা। ( সিএনজি ১৫০ টাকা)

তবে যদি ৫-১০ জনের গ্রুপ হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় ১ টি মাইক্রো ভাড়া করা। ভাড়া পরবে ৪৫০০-৬০০০ টাকা ।এতে আপনাদের সময় অনেক বাচবে এবং আরামে যেতে পারবেন। নুহাশ পল্লীতে মাইক্রো বা প্রাইভেটকার পার্ক করার যায়গা আছে। কোনো টাকা লাগবেনা। ড্রাইভার ফ্রিতে নুহাশ পল্লী ঢুকতে পারবে।

প্রবেশ মূল্য:

নুহাশ পল্লীতে প্রবেশ করতে জন প্রতি গুনতে হবে ২০০ টাকা করে। ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের প্রবেশ করতে কোনো টাকা লাগেনা।