সিরাজগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। তাঁতশিল্প এ জেলাকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু এবং সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের অপূর্ব সৌন্দর্য এ জেলাকে পর্যটনসমৃদ্ধ জেলার খ্যাতি এনে দিয়েছে। তা ছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র কাঁচারিবাড়ি, এনায়েতপূর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ি বার্জ মাউনন্টেড বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর ইত্যাদি বিখ্যাত স্থাপত্য ও শৈল্পকর্মের নিদর্শন এ জেলাকে সমৃদ্ধতর করেছে।
অবস্থানঃ-
রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব ১৪২ কিমি। এ জেলার দক্ষিণে পাবনা, উত্তরে বগুড়া, পূর্বে টাঙ্গাইল ও জামালপুর, পশ্চিমে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলা অবস্থিত। এ জেলার আয়তন ২৪৯৭.৯২ ব: কি.মি.।
নামকরনের ইতিহাসঃ-
বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক এক ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন। তিনি তাঁর নিজ মহালে একটি‘গঞ্জ’ স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। কিন্তু এটা ততটা প্রসিদ্ধি লাভ করেনি। যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে তা নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্রমশঃ উত্তর দিকে সরে আসে। সে সময় সিরাজউদ্দীন চৌধুরী ১৮০৯ সালের দিকে খয়রাতি মহল রূপে জমিদারী সেরেস্তায় লিখিত ভুতেরদিয়ার মৌজা নিলামে খরিদ করেন। তিনি এই স্থানটিকে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান স্থানরূপে বিশেষ সহায়ক মনে করেন। এমন সময় তাঁর নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি পুনঃ নদী ভাঙ্গণে বিলীণ হয়। তিনি ভুতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভুতের দিয়ার মৌজাই‘সিরাজগঞ্জ’ নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে।
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
মাওলানা খোন্দকার আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ
মনসুর আলী (জাতীয় চার নেতার একজন)
গাজী আতাউর রহমান
আব্দুল লতিফ মীর্জা(বীর উত্তম)
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
ডঃ আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন
কবি মহাদেব সাহা
ফজলে লোহানী
সুচিত্রা সেন
যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী
মোহাম্মদ নজিবর রহমান; সাহিত্যরত্ন
ফতেহ লোহানী
বাপ্পী লাহিড়ী
হৈমন্তী শুক্লা
বিখ্যাত স্থানঃ-
বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু
মখদুম শাহের মাজার
রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি
চলনবিল
যাদব চক্রবর্তী নিবাস
ইলিয়ট ব্রিজ
শাহজাদপুর মসজিদ
জয়সাগর দীঘি
নবরত্ন মন্দির
ছয়আনি পাড়া দুই গম্বুজ মসজিদ
ভিক্টোরিয়া স্কুল
হার্ড পয়েন্ট
ইকো পার্ক
মিল্কভিটা
রাউতারা বাঁধ ও স্লুইসগেট
বাঘাবাড়ি নদীবন্দর
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর বাড়ী
ভোলা দেওয়ানের মাজার
ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ী
আটঘরিয়া জমিদার বাড়ী
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়।