এম ভি তরীকা-৬| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

682

এম ভি তরীকা-২ লঞ্চটি ঢাকা মাদারীপুর রুটে চলাচল করে। ঢাকার সদরঘাটে সরাসরি গিয়ে পুরো লঞ্চটি রিজার্ভও করা যেতে পারে। এটি ৭২২ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।

 

যোগাযোগ

  • সদরঘাট অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে যেকোন তথ্যের জন্য।
  • যোগাযোগের ফোন নম্বর: +৮৮-০১৭১১৩৪৪৭৫০

 

যাত্রার সময়

  • ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে চারদিন পর পর মাদারীপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। ঈদের সময় একদিন পর পর মাদারীপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।

 

ঢাকা থেকে ছাড়ে মাদারীপুর পৌঁছে
সন্ধ্যা ০৭.৪৫ টা সকাল ০৯.০০ টা
মাদারীপুর থেকে  ছাড়ে ঢাকা  পৌঁছে
দুপুর ০২.০০ টা ভোর ০৫.০০ টা

 

ঢাকা মাদারীপুর  রুটে চলাচল করা লঞ্চগুলোর ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় ও যোগাযোগ নম্বর নিচে তুলে দেওয়া হল :

লঞ্চের নাম ঢাকা থেকে ছাড়ার সময়
এম.ভি তরীকা-২ সন্ধ্যা ০৭.৪৫
এম.ভি দ্বীপরাজ-৪ সন্ধ্যা ০৭.৪৫

 

 

যোগাযোগ নম্বর

লঞ্চের নাম মোবাইল নম্বর
এম.ভি তরীকা-২ ০১৭১১৩৪৪৭৫০
এম.ভি দ্বীপরাজ-৪ ০১৭১৬২১৭২৭৬

 

 

কেবিন বুকিং

  • কখনোই মোবাইলে কেবিন বুকিং দেওয়া যায় না। যাত্রীকে সরাসরি লঞ্চে গিয়ে কেবিন বুকিং দিতে হয় ।

 

ধারণক্ষমতা  ভাড়া

  • লঞ্চের কেবিনগুলোতে ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত প্রত্যেক যাত্রীর জন্য একটি করে ডেকের টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।

 

শ্রেণী ধারনক্ষমতা ভাড়া
তৃতীয় শ্রেণী (ডেক) ২০০/-
সিংগেল কেবিন ০১ ৬০০/-
ডাবল কেবিন ০২ ১০০০/-

 

 

মালপত্র নেয়া

  • সদরঘাটে লঞ্চ পর্যন্ত মালপত্র নেবার জন্য কুলিকে মজুরি দিতে হয়। তারপর লঞ্চের জন্য আলাদা মাশুল দিতে হয়।
  • ১০ কেজি সীমার মধ্যে ১টি ব্যাগের জন্য কুলির মজুরি ১০ টাকা। ২০ কেজি সীমার একটি ব্যাগের জন্য কুলির মজুরি ২০ টাকা। ৩০ কেজি সীমার দুইটি ব্যাগের জন্য মজুরি ৩০ টাকা। ৪০ কেজি সীমার একটি ব্যাগের মজুরি ৩০ টাকা। ৪০ কেজি সীমার দুইটি ব্যাগের মজুরি ৪০ টাকা এবং ৬০ কেজি সীমার দুইটি ব্যাগের মজুরি ৫০ টাকা। ১০০ কেজি সীমার মধ্যে আসবাব পরিবহনের জন্য কুলিদের ১০০ টাকা এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ৩০০ টাকা চার্জ দিতে হয়।
  • কাপড় ৫০ কেজি সীমার মধ্যে কুলিকে ৫০ টাকা এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১৫০ টাকা দিতে হয়। আর কুলির জন্য অতিরিক্ত প্রতি ২০ কেজির জন্য ২০ টাকা।
  • কাঠের বা ষ্টীলের খাট প্রতিটির জন্য ৩০০ টাকা এবং কুলিকে ১০০ টাকা দিতে হয়। কাঠের, ষ্টিলের, বেতের চেয়ার, টেবিল প্রতিটির জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১৫০ টাকা এবং কুলিকে ২০ টাকা দিতে হয়।
  • যেকোন  আয়তনের ফ্রিজের জন্য ২৫০ টাকা এবং কুলিকে ৫০ টাকা এবং সকল ধরনের টেলিভিশনের ক্ষেত্রে প্রতিটির জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১০০ টাকা  এবং কুলিকে ২০ টাকা দিতে হয়।
  • হার্ডওয়্যার/ অন্যান্য মালামাল/ কার্টন/ ফ্যান/ ঝুড়ি প্রতিটির জন্য ৫০ কেজি সীমায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ২০০ টাকা এবং কুলিকে ৪০ টাকা দিতে হয়।
  • মোটর সাইকেল প্রতিটির জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১০০ টাকা এবং কুলিকে ২৫০ টাকা দতে হয়।
  • সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান এ জাতীয় জিনিসপত্র প্রতিটির জন্য কুলিকে ২০ টাকা দিতে হয়।

 

 

নামাজ আদায়

  • লঞ্চে আরোহনকারী যাত্রীদের জন্য আলাদা স্থানে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের ৩য় তলায় এই স্থানটি সংরক্ষিত যেখানে একসাথে ১০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন।

 

 

টয়লেট

  • এই লঞ্চে মোট ৬ টি টয়লেট রয়েছে। শুধুমাত্র কেবিন যাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক ২ টি টয়লেট আর ডেক যাত্রীদের জন্য নিচতলার পিছনের দিকে মহিলাদের জন্য ২ টি এবং পুরুষের জন্য ২ টি টয়লেট রয়েছে।

 

বিবিধ

  • জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা থাকে।
  • লঞ্চ চরে আটকে গেলে অনেক সময় অন্য লঞ্চের সাহায্য নেয়া হয়। অনেক সময় লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হয়।
  • দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ নম্বর সতর্ক সংকেত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হলে আর চলাচল করে না।