ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি।

1621

ভারত উপমহাদেশে মুঘলদের আমল থেকে ব্রিটিশদের শাসন আমল পর্যন্ত জমিদারী প্রথা চালু ছিল । এই জমিদার দের বাড়ি কেই জমিদার বাড়ি বলা হয় । কালের বিবর্তনে বাংলার মাটি থেকে অনেক আগেই জমিদার ও জমিদারী প্রথা উঠে গেছে , কিন্তু মুছে যায়নি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য । জমিদারদের নির্মিত বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা গুলো আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । তেমনই একটি জমিদার বাড়ি হচ্ছে, সিরাজগঞ্জ জেলার, রায়গঞ্জ উপজেলায়, ধুবিল ইউনিয়ন এর ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি।

কাটার মহল পরগনার প্রতিষ্ঠাতা জমিদার মুন্সি আব্দুর রহমান তালুকদার এর আমলে এ বাড়িটি নির্মিত হয়েছে বলে জানা যায়। সালটি আনুমানিক ১৮৪০। এ বাড়ির কারুকার্জ খুব সুন্দর যা সেকালের নিদর্শনের বাহন হিসেবে আজও আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাতিশালে হাতি আর ঘোড়াশালে ঘোড়া থাকত এ বাড়িতে। শতাধিক গৃহকর্মী, রাখাল আর অসংখ্য লোকজনে ভরপুর জমিদার বাড়িটি এখন প্রায় মানুষশূন্য।

বিটিশ শাসন আমলে এরা জমিদারি পেয়েছিল। জমিদারি চালানোর জন্য পূর্বপূরুষেরা তাদের সন্তানদের সুদুর বিলেত, আমেরিকা ও কলকাতায় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেন।

জমিদারি প্রথার বিলুপ্তিতে পথে বসে যান জমিদাররা। কিন্তু শিক্ষাই তাদের আবারো মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে। জমিদারদের জায়গায় নির্মিত হয়েছে স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা ব্যাংক, হাসপাতাল সহ অন্যন্য প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়দের কাছে বাড়িটি তালুকদার বাড়ি নামে পরিচিত। জমিদারদের স্মৃতি বিজারিত এই বাড়িটি হতে পারে সিরাজগঞ্জের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়। সিরাজগঞ্জ শহরে বাসে করে যেতে হয়  রায়গঞ্জ উপজেলা। রায়গঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ২০ কি. মি. দূরে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিন দিকে এ কাটার মহল জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে বাস, সি এন জি, রিক্সা, মটর সাইকেল যোগে ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।