ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পাঠান নগর ইউনিয়নের শিলুয়া গ্রামে রয়েছে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ । শিলামুর্তির গায়ে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাক্ষ্মী হরফের লিপি থেকে এখানে আর্য্য সভ্যতা বিকাশের প্রমাণ পাওয়া যায় । ব্রিটিশ আমল থেকে এ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্মৃতি চিহ্নটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত রয়েছে ।
অনেক আগে শিলুয়া গ্রামটির নাম ছিলো রত্ননগর।বেশ কয়েক শতাব্দী আগে এ রত্ননগরে একটি পাথর আবিস্কার হয় যে পাথরটি জীবিত পাথর হিসাবে তৎকালিন ব্রিটিশ সরকার যাদুঘরের অধিনে নিয়ে নেয়।এ জীবিত পাথরটির নাম অনুযায়ি তখনকার রত্ননগর গ্রামটির নাম হয়ে যায় শিলুয়া।একে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়। মধ্যম শিলুয়া, পূর্ব শিলুয়া, পশ্চিম শিলুয়া, বেদরাবাদ শিলুয়া।শিল যে জায়গায় তার নাম মধ্যম শিলুয়া।জায়গাটা শিলুয়া চৌধুরী বাড়ীর সামনে এবং এ জায়গার মালিককানা ছিলো চৌধুরী বাড়ীর।
পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার একয়ার করে জাদুঘরের অধিনে নিয়ে নেয়।লোক মুখে এ শিলের অনেক অবাক করা কাহিনি শুনা যায় ।এলাকায় শিল ঘর হিসাবে এর বেশ পরিচিতি।এর কারনে ব্রিটিশ আমলে শিলটির উপরে একটা সুন্দর চাউনি দেওয়া হয়েছিলো আর জায়গাটার চারপাশ লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিলো এবং এর রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একজন দারোয়ান ছিলো।
তবে কালের বিবর্তনে এখন আর রেলিং গূলো নেই আর দারোয়ান ও নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব রফিকুল হায়দার চৌধুরী তাহার নিজ উদ্যেগে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে উক্ত শিল ঘরটির চারপাশে ইটের প্রাচীর দিয়ে বাউন্ডারী করে দিয়েছেন।শিলটি দেখতে বহু দূর-দূরান্ত থেকে আনেক লোক আসে যাহা এখনো জীবিত পাথর হিসাবে পরিচিত।
উল্লেখ্য,হিন্দু সম্প্রদায় এ শিলা খন্ডকে ঘিরে পূঁজো আর্চনা করতো কোন এক কালে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা :
এটি ফেনী থেকে ছাগলনাইয়ার সড়ক ১২/১৩ কিলো মিটার দূরবর্তী কন্ট্রাক্টর মসজিদ বাজার হতে প্রায় ৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে মধ্যম শিলুয়া চৌধুরীবাজারের ৫০ গজ পশ্চিমে ও শিলুয়া চৌধুরী বাড়ীর পূর্ব পাশে শীলটি অবস্থিত।