জমিদার চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদ

1260

ফেনীর পূর্বাঞ্চলের একজন স্বনামধন্য ও প্রভাবশালী জমিদার চাঁদগাজী ভূঁঞা। প্রায় চারশ’ বছর আগে ১১২২ খ্রিস্টাব্দে এই জমিদার নির্মাণ করেন ‘চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদ’। মোগল স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত এই মসজিদ এক অপূর্ব সৌধ মালা; যা এখনো ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের বিস্মিত করে। বর্তমানে এই স্থাপত্যশিল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের।

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নে ২৮ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই মসজিদটি। ইট এবং সুড়কি দিয়ে ‘চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদ’-এ নানা কারুকার্য করা হয়। এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট, প্রস্থ ২৪ ফুট এবং উচ্চতা ৩৫ ফুট। মসজিদটির তিনটি গম্বুজ এর সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গম্বুজের উপরে পাতা এবং কলসের নয়নাভিরাম নকশা করা হয়েছে। এছাড়া একই ধরনের স্থাপত্যশৈলীর ১২ টি মিনার রয়েছে এবং দরজার উপরে টেরাকোটার নকশা রয়েছে। মসজিদের সামনের অংশে শ্বেত পাথরের নামফলকে এর বর্ণনা রয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে প্রাচীন ঐতিহ্যের সব ধরনের চিহ্ন পাওয়া যায়।

প্রাচীন এ মসজিদকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় শিক্ষালয় এখানে গড়ে উঠেছে। এর আগে মক্তবে পড়ে এলাকার ছেলে-মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষালাভ করলেও ১৯৮২ সালে চাঁদগাজীর বংশধররা মসজিদের পাশে চাঁদগাজী ভূঁঞা দারুল কুরআন নামে একটি নুরানি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

কিভাবে যাবেন:-

এই মসজিদটি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় অবস্থিত। প্রথমেই সিএনজি অটোরিকশায় করে আপনাকে ছাগলনাইয়া উপজেলায় আসতে হবে। শেয়ারে আসলে আপনাকে ২০/- টাকা ভাড়া দিতে হবে এবং পুরো সিএনজি ভাড়া নিলে আপনাকে প্রায় ১০০/- টাকা ভাড়া গুনতে হবে। ছাগলনাইয়া থেকে ১২/-টাকা ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশায় করে চাঁদগাজী বাজারে পৌছাতে পারবেন। বাজার থেকে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় করে চাঁদ গাজী ভুইয়া মসজিদে যেতে পারবেন। চাঁদগাজী ভুইয়া মসজিদটি বাজার থেকে মাত্র ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্বে অবস্থিত।