কদম মোবারক মসজিদ

1209

চট্টগ্রামের অতীত ইতিহাসের ঐতিহ্যের সাথে শহরের সবচাইতে প্রাচীন সমজিদ কদম মোবারক মসজিদের নাম মিশে আছে। কদম মোবারক মসজিদ তার অতীত এতিহ্যকে ধারণ করে আজো টিকে আছে। মোঘল শাসক নবাব ইয়াছিন খাঁন কর্তৃক এই মসজিদ নির্মিত হয়। কদম মোবারক মসজিদ মোঘল স্থাপত্য শিল্পের এক ঐতিহাসিক নির্দশন হিসেবে আজো টিকে আছে। এই মসজিদের গঠন, অবকাঠামো, নির্মাণ শৈলী, কারুকার্য্য এখনো সবাইকে আকৃষ্ট করে।

কদম রসুল একটি পবিত্র স্থান যেখানে নবী (সাঃ) এর পদচিহ্ন সংবলিত পাথর খন্ড সংরক্ষিত থাকে। মুসলিম বিশ্বে বিভিন্ন দেশে এ রকম পবিত্র স্থানের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে যে, মুহম্মদ (স.) পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সেখানে তাঁর পদচিহ্ন থেকে যায়। মক্কা ফেরত অনেকেই এ ধরনের পদচিহ্ন সংবলিত পাথর খন্ড নিয়ে আসতেন। তাঁরা শ্রদ্ধার সঙ্গে এগুলি বিভিন্ন সৌধে, বিশেষ করে মসজিদের অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করতেন, যা কদম রসুল আল্লাহ বা কদম শরীফ বা কদম মোবারক নামে পরিচিত।

মোঘল শাসকরা যখন চট্টগ্রামকে মগ এবং পর্তুগীজদের হাত থেকে মুক্ত করেন তখন এখানে মোঘল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। মোঘল শাসকরা চট্টগ্রাম জয় করার পর এখানে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং তাদের বিজয়ের নির্দশন স্বরূপ বহুমসজিদ নির্মাণ করেন। মোঘল শাসক নবাব ইয়াছিন খাঁন ছিলেন একজন ধর্মভীরু সত্ শাসক। তিনি এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজস্ব খরচে চট্টগ্রাম শহরের প্রাণ কেন্দ্র চেরাগীর পাহাড় (মোমিনরোড) এলাকায় ১৭১৯ সালের দিকে এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৭৯৯ থেকে ১৮০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ চার বছরে মসজিদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। মসজিদটি নির্মাণকালে মোঘল স্থাপত্য শৈল্পিক চেতনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। কদম মোবারক মসজিদের নির্মাণ শৈলী এখনো দর্শনার্থীদেরকে আকৃষ্ট করে।

যেভাবে যাবেন:-

দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে সড়ক, নৌ বা রেলপথে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসুন। চট্টগ্রামের কদম মোবারক মসজিদ চট্টগ্রাম শহরতলীতে  অবস্থিত হওয়ায় যে কোন স্থান থেকে অটো কিংবা রিক্সা করে কদম মোবারক মসজিদে যাওয়া যায়।