কক্সবাজারে শুভ সূচনা হলো বোয়িং বিমানের

843

কক্সবাজার বিমানবন্দরে চলাচল করবে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ। তারই শুভ সূচনা হলো গত ৬ মে। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরের মধ্য দিয়ে সূচনা হেলো বোয়িং বিমানোর কক্সবাজার অবতরণ। কক্সবাজার বিমান বন্দর হতে আর্ন্তজাতিক বিমানের যাত্রার শুভ সুচনা হয়েছে।

এবং গত ৬মে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে রওনা হয়ে সকাল ১০টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ মেঘদূত। কক্সবাজারের সম্প্রসারিত রানওয়ে ব্যবহার করে নামার পর বিমানবন্দরে বড় আকারের উজোজাহাজ চলাচল উদ্বোধনের পর মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া গত ২৯ এপ্রিল সকাল ৯ টায় কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে বোয়িং ৭৩৭ বিমান পরীক্ষামুলক অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকারের নির্মাণ করা এ বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এতদিন কেবল ড্যাস কিউ ৪০০ মডেলের ৭৪ আসনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে এবং এর চেয়ে ছোট যাত্রীবাহী ও কার্গো উড়োজাহাজই এ বিমানবন্দরে ওঠানামা করত। কিন্তু এর পর থেকে   কক্সবাজার বিমান বন্দরে ৭৭৭ -এর মতো সুপরিসর বিমান নামার কোন বাঁধা থাকবেনা।

কিন্তু কক্সবাজারকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী এবং মহেশখালীকে বিনিয়োগের ‘হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরুর প্রেক্ষাপটে সরকার এ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার কাজ শুরু করেছে। বিশেষ করে বোয়িংয়ের জন্য রানওয়ে সম্প্রসারণ ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। আপাতত অভ্যন্তরীণ রুটে বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে। ২০০৯ সালে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ১৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ব্যয়বহুল এই প্রকল্প চালু হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রয়েছে কক্সবাজারের বাসিন্দা ও কক্সবাজার গামী পর্যটকেরা।

মেরিণ ড্রাইভ রোডসহ মোট ৯টি প্রকল্পের উদ্ধোধন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার আসেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভামঞ্চের পাশে এক জায়গায় বাঁকখালী নদীর ওপর একটি ব্রিজ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস ভবন, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, এসপিএম (ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং), নাফ ট্যুরিজম পার্ক, উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেসা মুজিব মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন ও কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

ইতোমধ্যে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯০০০ ফুট, রানওয়ের চওড়া ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট, এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিংয়ের যন্ত্রপাতি ক্রয়, আইএলএস এবং ডিভিওআরসহ প্রায় ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এর আগে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য মাটি ভরাট ও ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ।

বোয়িং ৭৩৭ জাতীয় বড় ধরনের বিমান চলাচলের উপযোগী করে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান এই সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।