কৈবল্যধাম আশ্রম| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1808

রাম ঠাকুর  ১৯ শতকের একজন হিন্দু ধর্মগুরু এবং সাধক। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় সমাজ জীবনে কুসংস্কার, ব্রিটিশ রাজশক্তির সৃষ্টি করা ভেদ নীতি ও দাঙ্গার বিরুদ্ধে শুধু আধ্যাত্মিক চেতনায় মানুষকে বলীয়ান করাই নয়, সমাজ সংস্কারের এক সার্থক রূপকার ছিলেন রাম ঠাকুর। চট্টগ্রামের ফিরোজশাহ এলাকায় হিন্দু সম্প্রাদয়ের কৈবল্যধাম আশ্রম টি বেশ সুপরিচিত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নির্দেশে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ১৯৩০ সালে কৈবল্যধাম আশ্রমটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে হাজার হাজার রাম ঠাকুরের ভক্তদের ভিড়ে মূখরিত হয়ে উঠে কৈবল্যধাম আশ্রম টি।

আশ্রমে ঢুকতে পাকা রাস্তা মনোরম পরিবেশ ডান পাশে রয়েছে বোধি বৃক্ষ গাছের ডাল পালা চারিপাশে ছিটিয়ে রয়েছে, অনেকে বসে রাম ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করছে কেউ আবার একটু ঠান্ডা বাতাসের অনুভব করতে বসে আছে ঘন্টার পর ঘন্টা । বোধি বৃক্ষের সামনে রয়েছে একটি পুকুর পুকুরের চারিপাশে রয়েছে নানা রকম ফুল ফলের গাছ,পাকা দুইটি পুকুর ঘাট রয়েছে পুকুরের ঘাটে বসে অনেকে গল্প করছে । একটু উপরে উঠতে রয়েছে দুরদূরান্ত থেকে আসা ঠাকুরের ভক্তদের থাকার মনোরম পরিবেশে ৩ তলা বিশিষ্ট যাত্রী নিবাস। প্রায় হাজার হাজার ভক্ত এখানে রাত্রী যাপন করে। দেশের অনেক দূরদূরান্ত থেকে কলাপাতার মাঝে প্রসাদ খেতে নারী পুরুষ ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আসে এই  আশ্রমে।

আশ্রমে একসাথে পাচঁহাজার ভক্ত প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, প্রতি শুক্রবার দশ হাজারও বেশী ভক্তদের সমাগম ঘটে। প্রতিবছর দূর্গাপূজায় লাখো লাখো মানুষের ভিড় জমায় এই আশ্রমে । প্রতিদিন আশ্রমে ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে,প্রতি শুক্রবার প্রায় বিশহাজার মানুষের মাঝে প্রসাদ বিতরন করে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ভক্তদের সেবা ও আশ্রমের সকল কাজের রক্ষনা বেক্ষন করার জন্য রয়েছে একহাজারও বেশী সেচ্ছাসেবক ।দীর্ঘদিন ধরে মহারাজ হিসেবে শ্রীমৎ অশোক কুমার চট্টোপধ্যায় কৈবল্যধাম আশ্রমটির দায়িত্বে রয়েছেন।

যেভাবে যাবেনঃ-

দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে সড়ক, নৌ বা রেলপথে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসুন। চট্টগ্রামে পৌছানোর পর লোকাল বাসে চড়ে এই আশ্রমে পৌছাতে পারবেন।