কালভৈরব মন্দির | ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1168

কালভৈরব মন্দির বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত অন্যতম ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। মূলত হিন্দু ধর্মের অন্যতম দেবতা শ্রীশ্রী কালভৈরবের বিগ্রহকে কেন্দ্র করেই স্থাপিত হয় এই মন্দিরটি। অনেকের মতে, ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি বা বিগ্রহ হলো এই শ্রীশ্রী কালভৈরব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডায় অবস্থিত শ্রী শ্রী কালভৈরব মূর্তি।২৪ ফুট উচ্চতার মূর্তিটি ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মূর্তি বলা হয়।ডানপাশে কালী মূর্তি ও বামপাশে পার্বতী দেবীর মূর্তি রয়েছে।মূর্তিটির পাশে ছিল শ্রী শ্রী কৈলাশ্বেশ্বর শিবলিঙ্গ, যা ১১২ বছরের পুরনো। মন্দিরের ডান পাশে শিবলিঙ্গ মন্দির। মন্দিরের বাম পাশে নতুন করে শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও শ্রী শ্রী শনিদেবের বিগ্রহ মন্দির রয়েছে।সুবিশাল এই বিগ্রহটির উচ্চতা ২৮ ফুট এবং নান্দনিক এই বিগ্রহটি ১৯০৫ সালে স্থাপিত হয়। কথিত আছে যে, কাশীশ্বর দেবাদিদেব মহাদেব একদিন নিজ শরীরের অংশ থেকে কালভৈরবের সৃষ্টি করেন এবং তার প্রতি কাশীধাম রক্ষার ভার প্রদান করেন। কালীশ্বর শ্রীশ্রী কালভৈরবের আবির্ভাবের পর স্বপ্নে আদেশ পেয়ে স্থানীয় দূর্গাচরণ আচার্য মাটি দিয়ে নির্মাণ করেন এই অতি বিরাটাকার কালভৈরবের বিগ্রহটি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কালভৈরবের বিগ্রহটি পাক হানাদার বাহিনীর নজরে এলে তারা বৈদ্যুতিক ডিনামাইটের আঘাতে শিব ও পার্বতী মূর্তির অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। দার্শনিক ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী মহারাজের এবং সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় চার বছর কাজের পর কালভৈরব মূর্তি ও মন্দির পুণরায় নির্মাণ করা হয়।

এই মন্দিরটি প্রায় তিনশ বছরের পুরোনো মন্দির। শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরের দালানটি প্রায় ৬০% নষ্ট হয়ে গেছে, রঙ করে কোন রকমে চলছে। মন্দিরের চারদিকে প্রাচীর দেয়া খুবই জরুরি। মন্দিরে ফাল্গুন মাসের শুক্ল পহ্মের সপ্তমী তিথিতে তিনদিনের মহা যঙ্গ অনুষ্টান হয়। যা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম গঠে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা:-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি মহাসড়করন সাথে যুক্ত, একটি হল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, যেটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ এবং অপরটি হল কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। সরাইল উপজেলার বিশ্বরোডে দুটি হাইওয়ে রোড মিলিত হয়েছে। সেখান থেকে বাসে কিংবা টেম্পোয় মেড্ডা এলাকার পূর্বদিকে এ মন্দিরের অবস্থান। খাবারের সুব্যবস্থা নেই। নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করতে হয়।