চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পূর্বে এটি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত ছিল। দেশ বিভাগের পূর্বে এটি পশ্চিম বঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে সর্বপ্রথম চুয়াডাঙ্গাকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। পরবর্তিকালে নিরাপত্তা এবং কৌশলগত কারণে চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজধানী মুজিবনগরে সরিয়ে নেয়া হয়।
নামকরনের ইতিহাস:-
চুয়াডাঙ্গার নামকরণ সম্পর্কে কথিত আছে যে, এখান কার মল্লিক বংশের আদি পুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের নামেএ জায়গার নাম চুয়াডাঙ্গা হয়েছে। ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চুঙ্গো মল্লিক তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকেনিয়ে ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমানার ইটেবাড়ি- মহারাজপুর গ্রাম থেকে মাথা ভাঙ্গা নদী পথে এখানে এস প্রথম বসতি গড়েন। ১৭৯৭ সালের এক রেকর্ডে এ জায়গার নাম চুঙ্গোডাঙ্গা উল্লেখ রয়েছে। ফারসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার সময় উচ্চারণের বিকৃতির কারণে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা নামটা এসেছে। চুয়াডাঙ্গা নামকরণের আরো দুটি সম্ভাব্য কারণ প্রচলিত আছে। চুয়া- চয়া- চুয়াডাঙ্গা হয়েছে।
অবস্থান ও আয়তন:-
চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়তন ১১৭০.৮৭ বর্গ কিলোমিটার। চুয়াডাঙ্গা জেলার উত্তর-পূর্বদিকে কুষ্টিয়া জেলা, উত্তর-পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে, ঝিনাইদহ জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা, এবং পশ্চিমে ভারতের নদিয়া জেলা অবস্থিত। জেলার মূল শহর চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪টি উপজেলা
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা
আলমডাঙ্গা উপজেলা
দামুড়হুদা উপজেলা
জীবননগর উপজেলা
কৃতি ব্যক্তিত্ব:-
খোদা বক্স সাঁই – (গীতিকার সুরকার ও গায়ক – ১৯৯১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত
অনন্তহরি মিত্র (১৯০৬ – ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী
স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী.
সোলায়মান হক জোয়ার্দার (সেলুন) – বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য ও মাননীয় হুইপ.
মোঃ মোজাম্মেল হক শিল্পপতি – বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি, সাবেক সংসদ সদস্য.
সুবেদার মেজর সাইদুর রহমান বীর প্রতীক – খেতাবপ্রাপ্ত বীরপ্রতীক.
হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক) – খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীরপ্রতীক।
বিখ্যাত খাবার:-
পান
তামাক
ভুট্টা
বিখ্যাত স্থান:-
ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ
তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ
আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন
হজরত খাজা মালিক উল গাউসের (রহ.) মাজার
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোং লি.
দর্শনা রেলস্টেশন
দর্শনা শুল্ক স্টেশন
দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট
নাটুদহ আটকবর
নাটুদহ
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
চারুলিয়া
কার্পাসডাঙ্গা
তালসারি
দত্তনগর কৃষি খামার
ধোপাখালী মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান
কাশিপুর জমিদারবাড়ি
ধোপাখালী শাহী মসজিদ
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়।