কাপাসিয়া উপজেলা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বানার, শীতলক্ষ্যা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিমে, আনুমানিক ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জনৈক হিন্দু রাজা এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। দুর্গটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫ কিলোমিটার আর প্রস্থে ছিল ২ কিলোমিটার। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ইলিয়াস শাহ ১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে দুর্গটির সংস্কার সম্পন্ন করেন। এই দুর্গটি সাধারন মানুষের নিকট একডালা দুর্গ নামে পরিচিত।
১৩৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ফিরোজ তুঘলক বাংলা আক্রমণ করলেও একাডালা দুর্গ অধিকার করতে পারেন নি। ১৩৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ইলিয়াস শাহ-এর মৃত্যুর পর, এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, ফিরোজ তুঘলোক পুনরায় বাংলা আক্রমণ করেন। এবারও পিতার মতো সিকান্দার শাহ একডালা দুর্গে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান। এরপর ১৫১৮ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন শাহ পুনরায় দুর্গটি সংস্কার করেন। রায়েদ ইউনিয়নে কালী বানার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দ্বার-ই দরিয়া (দরদরিয়া) দুর্গ ছিল একডালা দুর্গের শাখা দুর্গ।মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে রাজা টোডরমল এ অঞ্চলকে ভাওয়াল পরগণায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ক্রমে ক্রমে এই দুর্গটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায় । তবে এই ‘একডালা দুর্গের’ অবস্থান নিয়ে ঐতিহাসিকদের ভিতরে সংশয় ও মতভেদ রয়েছে । কেউ কেউ একে ঢাকার অদূরে বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ আবার মনে করেন এটি “মালদহ” জেলায় ।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা শহর থেকে যেকোন বাসে করে গাজীপুর চৌরাস্তা পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে কাপাসিয়াগামী বাসে চেপে কাপাসিয়া উপজেলা সদরে পৌছাতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। উপজেলা সদর থেকে সিএনজি,রিকসা কিংবা অটোভ্যানে সরাসরি পৌঁছানো যায় একডালা দুর্গের সামনে।