আউলিয়া শাহ্ কামালের পবিত্র দরগা মাজার শরীফ্

1656

প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশ। এই দেশে পরিচিত অপরিচিত অনেক পর্যটক-আকর্ষক স্থান আছে। এর মধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ এবং মিনার, পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, অরণ্য ইত্যাদি অন্যতম। এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকা বিভিন্ন স্বতন্ত্র্র বৈশিষ্ট্যে বিশেষায়িত।বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল জামালপুরের আউলিয়া শাহ্ কামালের পবিত্র দরগা মাজার শরীফ্।

চতুর্দশ শতকে দুর্মুঠ পীড় আউলিয়া শাহ্ কামালের পবিত্র দরগা মাজার শরীফ্ মেলান্দহ উপজেলার দর্শনিয় স্থান। বৈশাখে উরস শরীফের সময় দূর দূরান্ত থেকে পুন্যার্থীরা ১বৈশাখ থেকে বৈশাখের শেষ দিন পর্যন্ত সর্বধর্ম নির্বিশেষে পুণ্যার্থীরা এই অঙ্গনে মেলায় আসেন।দর্গা বিল/দ’ তে সূর্য আলোক ঝিলমিল দৃশ্য নয়নাভিরাম। এখানেও নৌকা বিহারের ব্যবস্থা করলে পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ বাড়বে।

ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য যে ৩৬০জন আওলিয়ার আগমন ঘটেছিল; তার মধ্যে হযরত শাহ্ জালাল (রহঃ) অন্যতম। হযরত শাহ্ পরান (রাহঃ), হযরত শাহ্ কামাল(রহঃ), হযরত শাহ্ জামাল (রহঃ), সৈয়দ জাহান (রহঃ), নিজাম উদ্দিন (রহঃ), সৈয়দ কুতুব উদ্দিন (রহঃ), সুলতানশাহ্ (রহঃ) প্রমুখদের আগমনের সময় হযরত শাহ্ কামাল (রহঃ) এর আগম বলে ঐতিহাসিক দলিল পাওয়া যায়।

ইসলাম প্রচারকদের মধ্যে হযরত শাহ কামাল (রহঃ) এর অবদান একটি ঐতিহাসিক দলিল। হযরত শাহ্ (রহঃ) এর নামানুসারে জামালপুর জেলার নাম করণ। হযরত শাহ্ কামাল(রহঃ) এর মাজার শরীফ একই জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট গ্রামে। তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ ডোনোর লিখিত থেকে জানা গেছে, বাংলা ৯১০ এবং ১৫০৩ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান আমলে বাংলায় তাদের আগমন ঘটে। ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দে হযরত শাহ কামাল(রহঃ) ও হযরত শাহ্ জামাল (রহঃ) ভ্রাতাদ্বয়ের মধ্যে হযরত শাহ্ কামাল (রহঃ) বড়। প্রতি বছর বাংলা বৈশাখ মাস ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী ওরস মেলা। দেশ-বিদেশের বহু ভক্তের আগমনে মুখরিত থাকে পুরো মাস।

কিভাবে যাওয়া যায়:

জামালপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে খুবই ভাল। বৃটিশ আমল থেকেই ঢাকা থেকে বাহাদুরাবাদ এবং জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের সাথে ট্রেণ যোগাযোগ ছিল। রেলপথে মানুষ স্বাচ্ছন্দে কম খরচে যাতায়াত করতে পারতেন। বর্তমানে ঢাকা থেকে রেল ও সড়ক পথে জামালপুরে যাতায়াত করা যায়। ঢাকা থেকে রেলপথে জামালপুরের দূরত্ব ১৭৭ কিঃমিঃ এবং সড়ক পথের দূরত্ব ২০০ কিঃমিঃ। ৪টি আন্ত:নগর ট্রেনসহ- বেসরকারী ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে।

জামালপুর কিংবা মেলান্দহ হতে সরাসরি বাসে/সিএনজিতে দুরমুট বাজার আসতে হবে।। বাজারের মধ্যেই অবস্থিত।অথবা ট্রেনে দুরমুট স্টেশনে নেমে মাজারে যাওয়া যাবে।