চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্ট ব্লকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুশোভিত চিরসবুজ বনাঞ্চলে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৫ কি.মি. উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেলপথের পূর্ব পাশে অবস্থিত।
এই এলাকা বিভিন্ন ধরনের গাছ, বুনফুল এবং গুল্মলতায় পরিপূর্ণ। বোটানি এবং জীববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রকল্পের কাজের জন্য প্রায়ই এখানে আসেন। এখানে পেয়ারা, সুঁপাড়ি, আম সহ বিভিন্ন ফলের বাগান আছে। এখানে কিছু নৃতাত্বিক জন গোষ্ঠীর মানুষও বসবাস করে, যারা ত্রিপুরা নামে পরিচিত এবং এখানে তাদের কিছু গ্রামও আছে। পাহাড়ের গভীরে গেলে পাহাড়ের গায়ে ফসলের চাষ অর্থ্যাৎ জুমচাষ দেখা যায়; গভীর পাহাড়ের ভেতরে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা ফুলের বাগানও দেখা যায়। এখানে অনেকগুলো ঝর্ণা আছে তবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাবার পথে শুধু একটি মাত্র ঝর্ণা দেখা যায়, এস্থান থেকেই পাহাড়ে উঠার পথ দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। ডান দিকের রাস্তা প্রায় পুরোটাই সিঁড়ি আর বামদিকের রাস্তাটি পুরোটাই পাহাড়ী পথ, কিছু ভাঙ্গা সিঁড়ি আছে। বাম দিকের পথ দিয়ে উঠা সহজ আর ডানদিকের সিঁড়ির পথদিয়ে নামা সহজ। এখানে সীতা মন্দিরের কাছে আরও একটি ঝর্ণা আছে তবে এটা শুকিয়ে গেছে, অন্যঝর্ণা গুলো গভীর বনের মধ্যে অবস্থিত।
সহস্রধারা ও সুপ্তধারা জলপ্রপাতঃ এই চন্দ্রনাথ রিজার্ভ ফরেষ্ট এলাকায় অনেক ছোট-বড় ঝর্ণা আছে।এই সকল ঝর্ণার মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক এলাকার মধ্যে দুটো ঝর্ণা রয়েছে।ঝর্ণা দুটি সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামে পরিচিত।সহস্রধারা থেকে অবিরত পানি ঝরছে।কিন্তু সুপ্তধারা থেকে শীতকালে খুব কম পরিমান পানি ঝরে, তবে বর্ষাকালে এগুলো তাদের পরিপূর্ণ ধারায় আবর্তিত হয়।এখানে বলে রাখা ভাল এই সহস্রধারা ঝর্ণা সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী এবং ধর্মীয় তীর্থস্থান সহস্রধারা নয়।
সারা বছর জুড়েই অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনায় এই স্থানটি মুখরিত থাকে। এখানে পর্যটকদের গাড়ি রাখার জন্য বিশাল একটি মাঠ রয়েছে। তবে এখানে বিশুদ্ধ খাবার পানির বড়ই অভাব। সেজন্য পর্যটকদের সাথে করে খাবার পানি নিয়ে যেতে হয়।
কিভাবে যাওয়া যায়:
সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এক কিলোমিটার দক্ষিনে সীতাকুন্ড পৌরসভার মধ্যে ইকো পার্কের অবস্থান।রিকসা কিং বা সিএনজি করে সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদ থেকে পৌঁছা যায়।