শরীয়তপুর জেলা

1058

ঢাকা বিভাগের জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জেলা শরীয়তপুর।বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়ে এই অঞ্চলটি বিক্রমপুর মহকুমার অন্তরভুক ছিলো।পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এই অঞ্চলটিকে পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র জেলায় পরিনত করা হয়। বিভিন্ন নদ নদীল অববাহিকায় গড়ে উঠা অঞ্চলটিতে চড়ের সংখ্যাই বেশি।তাই এই জেলাটি সাধারণ মানুষের নিকট চড় অঞ্চল হিসাবেই পরিচিত। চড় অঞ্চল হবার কারণে এই জেলটিতে প্রচুর পরিমান কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়। ধান ও পাট এ জেলার প্রধান কৃষি পণ্য।

নাম করণের ইতিহাস:-

শরীয়তপুর জেলা একজন বিখ্যাত ব্যক্তিক্ত হলেন “হাজী শরীযতউল্লাহ”। তিনি একাধারে ইসলামি চিন্তাবিদ,সমাজ সংস্কারক,ইসলাম সংস্কারক,কৃষণ নেতা ছিলেন।তিনি তার জীবনের অনেক দিন ইমলামের পূন্য নগরী মক্কাতে কাটান।১৮৯৮ সালে তিনি মক্কা থেকে ফিরে আসার আগে প্রায় এক দশক মক্কা নগরীর তৎকালীন বিশিষ্ট ইসলাম চিন্তাবিদদের কাছ থেকে ধর্ম ও আরবি শিক্ষা গ্রহন করেন।তিনি তার জিবনকালে বিভিন্ন ইসলামিক আন্দোলনের অগ্রদূত ছিলেন।পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এ অঞ্চলের নাম করণ করা হয়।

ঐতিহ্য:-

নদীমাতৃক এই শরীয়তপুর জেলাটির অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। রাজা বল্লভ সেনের সময় তার শ্বাসনকাল ছিলো এ জেলাটি। তিনি এই অঞ্চলেই বসবাস করতেন। তার বাসস্থানটি বর্তমানে কীর্তিদাশ নদীতে নিমজ্জিত। হরচন্দ্র চূড়ামনি, শ্রীযুক্ত বামাচরণ,বৈকন্ঠ চন্দ্র(কোলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন উকিল), দেবদাস চক্রবর্তী(বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী),রায় সাহেব রতন মনিগুপ্তের মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই অঞ্চলে জন্মগ্রহন করেন। এই অঞ্চলের শ্যামমূর্তি জাগ্রত দেবতা বলে লোকমুখে পরিচিত।এক কালে এঅঞ্চলে সংস্কৃত শিক্ষাকেন্দ্র ছিলো। বুড়ির হাট এখানকার বিখ্যাত একটি হাট। সাধারণ জনগনের নিকট হাটটি বহুল আলোচিত।তাছাড়া রূদ্রকর মঠ, চিকন্দির বৃটিশ সময়কার আদালত, লার্কার্তা গ্রাম, ছয়গাও সহ আরো অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে এ জেলাটিতে।

দর্শনীয় স্থানসমূহ:-

১)সুরেশ্বর দরবার শরীফ

৩)হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি

৪)মানসিংহের বাড়ী

৫)ধানুকার মনসা বাড়ি

৬)মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম

৭)দিগম্বরীর সন্যাসীবাড়ি ও দিগম্বরী দীঘি

বিখ্যাত খাবার:-

বিবিখানা পিঠা