মোঘল সম্রাট আকবর বার ভূইঁয়াদের দমন করতে সেনাপতি মানসিংহকে বাংলায় নিয়োগ করলেন । সেনাপতি রাজা মানসিংহ বার ভূইঁয়াদের অন্যত্তম ভূইঁয়া কেদার রায়কে দমন করার জন্য উক্ত স্থানে তার বাহীনিদের নিয়ে অবস্থান করে । পরবর্তীতে কেদার রায়ের সাথে প্রচন্ড যুদ্ব সংগঠিত হয় এবং কেদার রায় মারত্মক জখম হয় ও পরবর্তীতে মৃত্যুমুখে পতীত হয় । যুদ্ব জয়ের স্মৃতী চিহ্ন স্বরুপ মোঘল সেনাপতি উক্ত স্থানে একটি দূর্গ স্থাপন করেন যা মোঘল সেনাপতি রাজা মানসিংহের বাড়ি হিসেবে পরিচিত । বর্তমানে এর ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
প্রায় পাঁচশো বছরের অধিক সময় ধরে কাটোয়া মহকুমার শিঙি গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবারের পারিবারিক পুজো ঘিরে মানুষের ঢল নামে। নবমীর দিনে ও পাত পেড়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া আর হই হুল্লোড়ে মেতে উঠেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের প্রবীণতম সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য সুব্রত ভট্টাচার্য্য সায়ন্তন ভট্টাচার্য্য মিঠুন ভট্টাচার্য্য ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য দিলিপ ভট্টাচার্য ও রাজিব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ জানালেন যে এক সময়ে কথিত যে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ এই পুজো মন্ডপে এসেছিলেন। শাক্ত মতে পুজো হয় এবং প্রতিদিন ছাগ বলি দেওয়া হয়।
যেভাবে যাবেনঃ-
যে কোন স্থান থেকে নড়িয়া এসে বাসে বা অন্য কোন বাহনে করে ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের শ্রীনগর এলাকায় গিয়ে মোঘল সেনাপতি রাজা মানসিংহের দূর্গ দেখতে যাওয়া যায় । নড়িয়া থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৬ কিমি ।