পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1374

জয়পুরহাট শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়ন ও নাওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের সমান্তবর্তী পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি অবস্থিত ।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রায় দশ হাজার নিরিহ বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করে গন কবর দেওয়া হয়েছে এই পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমিতে । মূলত ১৯৭১ সালে ১৮ই জুন এই হত্যাকান্ড শুরু হয়। পাগলা দেওয়ানে ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহীনি ক্রাম্প ও বাঙ্কার । স্থানীয়ভবে হত্যা ও নির্যাতন ছাড়াও মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ যারা প্রানের ভয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয়ের জন্য এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদেরকে ধরে লুটপাট করে নির্মমভাবে হত্য করা হয়েছিল এই বধ্যভুমিতে ।

স্বাধীনতার পর প্রায় দুই তিন মাস পর্যন্ত পচা লাশের গন্ধে এই এলাকার মানুষ বসবাস করতে পারেনি । চাষের জমিতে কোপ দিলেই বেড়িয়ে আসলো অর্ধ গলিত লাশের হাড় গোড় । ১৯৯২ সালে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় এই বধ্যভূমিটি সম্পর্কে দেশবাসী জানতে পারে।পাগলা দেওয়ানে এখনো স্মৃতি স্বরূপ এখনে রয়েছে একটি বাঙ্কার । এলাকার প্রবীনরা এখনো শিউরে উঠেন এখানকার বাঙ্কার ও আশেপাশের স্মৃতিঘেরা ঘড়বাড়ি দেখে । এখানে আসলে আপনিও উপলব্ধি করতে পারবেন যুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন হতে পারে ।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি জয়পুরহাট জেলা  শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়। আক্কেলপুর উপজেলায় আসতে হয়। পাগলাদেওয়ান বধ্যভূমিটি জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে ১৫ কিঃমিঃ দূরে জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের পাগলা দেওয়ান গ্রামে অবস্থিত । জয়পুরহাট শহর থেকে রিক্সা কিংবা সি এন জি করে ঠাকুরের মন্দির যাওয়া যায়।