গোপালগঞ্জ জেলাশহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি অবস্থিত। শ্রী শ্রী হারিচাঁদ ঠাকুরের লীলাভূমি এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মহাতীর্থ হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি পবিত্র স্থান। প্রায় দুইশত বছর আগে ১২১৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে ওড়াকান্দির পার্শ্ববর্তী সাফলিডাঙ্গা গ্রামে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। ডাক্তার মিড মিশনারি ছেড়ে হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র দেব ঠাকুরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং শ্রীধাম ওড়াকান্দি প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল ধর্মের লোক এই মতুয়া ধর্মালোন্দলনে শরিক হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় দক্ষিণাঞ্চলের শরনার্থীরা এখানে এসে আশ্রয় নিত। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মুক্তাঞ্চলের হেডকোয়ার্টার ছিল এই ওড়াকান্দি গ্রামে। এখানে একটি ট্রেনিংক্যাম্প ছিল, যাঁর নেতৃত্বে ছিলেন নূর মুহম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল (ফরিদপুর)।শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৯-তম জন্ম তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় মহাবারুনী স্নানোৎসব।
ওড়াকান্দি মিড হাই স্কুল (১৯০৮) এ- অঞ্চলের প্রাচীন শিক্ষ্যা-প্রতিষ্ঠান। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ডাক্তার মিড নামের একজন খ্রিস্টান মিশনারি। ১৮৮০ সালে গুরম্নচাঁদ ঠাকুর এখানে যে পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন তাই পরবর্তীতে হাইস্কুলে রূপান্তরিত হয়। নমঃশূদ্রসহ নিমণবর্গের উত্থানের কেন্দ্রীয় চরিত্র লাভ করে। এই গ্রামের ভীষ্ণদেব দাস নিমণবর্ণের প্রতিনিধি হিসাবে প্রথম বাংলার আইন পরিষদে প্রবেশ করেন নমঃশূদ্র সমাজের প্রথম দুই ব্যারিস্টার পি.আর. ঠাকুর ও সুরেশ বিশ্বাস (কবি) এই গ্রামের সমত্মান। ড. ভগবতী প্রসন্ন ঠাকুর বিলেতে পি.এইচডি করেন। অমূল্য দাস বিলেত ফেরত ইঞ্জিনিয়ার। এখানে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাপ্টিস্ট মিশন আছে। ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষাত নমঃশূদ্র হিন্দু এই ইউনিয়নে বাস করে।
যেভাবে যাবেনঃ-
উপজেলা সদর হতে ৩০ কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে অবস্থিত এ ইউনিয়নে উপজেলা সদর হতে তিলছড়া বাসস্ট্যান্ড হতে পূর্ব দিকে বাইপাস সড়ক দিয়ে খাগড়াবাড়ীয়া-আড়ুয়াকান্দি-ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ী