কামানখোলা জমিদার বাড়ি।

1807

আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য জমিদারবাড়ি। তাই ভ্রমণ ও ইতিহাসপ্রেমীরা ঐতিহ্যের খোঁজে বারবারই ছুটে যান এসব জমিদারবাড়িতে। ঠিক এমনই একটা ঐতিহ্যবাহী জমিদারবাড়ি লক্ষীপুরের কামানখোলা জমিদার বাড়ি।

দালাল বাজারের কাছেই কামান খোলা জমিদার বাড়ী। জমিদার রাজেন্দ্র নাথ দাস পুত্র ক্ষেত্রনাথ দাস ও পৌত্র যদুনাথ দাস এবং যদুনাথ দাসের পৌষ্যপুত্র হরেন্দ্র নারায়ন দাস চৌধুরী পর্যায়ক্রমে জমিদারী করেন। রায়পুর উপজেলায় তাদের জমিদারী ছিল।

দালাল বাজারের জমিদারদের সাথে শখ্যতা থাকায় এ জমিদারের বাড়ীর নিকটবর্তী কামান খোলায় ভূ-সম্পত্তি ক্রয় করে জমিদারী আবাস গড়ে তোলেন। বাড়ীর সদর দরজায় খালের পাড়ের জল টংগী, লাঠিয়াল ও রক্ষী বাহিনীর আবাস, সামনে দ্বিতল লম্বা বিরাটাকারের পুজা মন্ডপ।

সুরক্ষিত প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতর বাড়ীতে অপূর্ব সৌন্দর্যের রাজ প্রাসাদ। বাড়ীর অভ্যন্তরে ভূগর্ভস্থ নৃত্য ও সালিশী কক্ষ অর্থাৎ ‘আঁধার মানিক’ খ্যাত কক্ষ নিয়ে নানা লোক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। হাতিমারা গেছে কিন্তু সে হাতির হাড় আছে। আছে লক্ষ্মী নারায়ন দেব বিগ্রহ।

যেভাবে যাবন:

লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি নিয়ে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই জমিদার বাড়ি। এছাড়া রামগঞ্জ থেকেও সিএনজি নিয়ে কামানখোলা জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়। এখানে আরো একটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। হাতে সময় নিয়ে গেলে ঘুরে দেখে আসতে পারেন ‘দালালবাজার জমিদার বাড়ি’ও।