ফ্রান্স পশ্চিম ইউরোপের দেশ। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এ দেশের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। উন্নত জীবনযাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মানসম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে এদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে। ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় ফ্রান্সের সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।
ফ্রান্সের স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
১. ইউনিভার্সিটি প্যারিস
২. পিয়েরি এবং মেরি কুরি
৩. প্যারিস সুদ (প্যারিস একাদশ) বিশ্ববিদ্যালয়
৪. ইউনিভার্সিটি ক্লাড বার্নার্ড লিয়ন
৫. ইউনিভার্সিটি ডি বোর্দো
৬. ইউনিভার্সিটি ডেনিস ডায়ারড প্যারিস
৭. ইউনিভার্সিটি ডি স্ট্রাসবুর্গ
স্টাডি সিস্টেমঃ-
ফ্রান্সে পড়ালেখার প্রধান ভাষা হলো ফ্রেঞ্চ ভাষা। তবে ইংরেজিতেও পড়ালেখা করা যায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি জানা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আইইএলটিএস বা টোফেল করা থাকলেও চলবে। আন্ডারগ্রাজুয়েটের জন্য ৫•০- ৫•৫ আইইএলটিএস এবং ৫৫০ টোফেল স্কোর এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েটের জন্য সাধারনত ৬•০ আইইএলটিএস এবং ৬০০ টোফেল স্কোর দরকার হয়
স্নাতক ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১২ বৎসর মেয়াদী শিক্ষাসার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া আইএলটিএস-এ কমপক্ষে পেতে হবে ৬-৬.৫ স্কোর। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে স্যাট-২ এর সার্টিফিকেট ও বাধ্যতামূলক করেছে। সাধারণত ব্যাচেলর কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর, মাস্টার্স কোর্সের মেয়াদ ১ বছর ও অন্যান্য কোর্স বিভিন্ন মেয়াদে পরিচালিত হয়
- ব্যচেলর ডিগ্রী
- মাস্টার্স ডিগ্রী
- পিএইচডি
ভর্তির সময়ঃ-
ফ্রান্সে বছরে তিন সেমিস্টারে পড়ালেখা করানো হয়। প্রতি বছরে একটি শিক্ষার্থীকে তিনটি সেমিস্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই তিনটি সেমিস্টার শুরূর আগে আগে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তীর সুযোগ দেয়া হয়।
১•সেমিস্টার এক-সেপ্টেম্বর/অক্টোবর,
২•সেমিস্টার দুই-জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি এবং
৩•সেমিস্টার তিন- মে/জুন।
ভর্তি ফিঃ-
ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই ফ্রান্সের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে। এক জরিপের হিসেব অনুয়ায়ী ফ্রান্সের উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
- ফ্রান্সে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর বার্ষিক ফি বাবদ ৩-৪ লাখ টাকা দিতে হয়।
স্কলারশীপ:-
প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রান্সে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। ফ্রান্সের সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্বলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
যেসব বিষয়ে পড়া যাবে:-
আর্টস, ভিজ্যুয়াল আর্টস, ভিডিও অ্যান্ড মিডিয়া, ইকোনমিক্স, সোস্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ল্যাঙ্গুয়েজ, ’ল, স্পোর্টস সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, জুওলজি, বায়োলজি, কমিউনিকেশন, কেমিস্ট্রি, ম্যাথমেটিক্স, প্লান্ট বায়োলজি, অ্যানিমেল বায়োলজি, ফিজিক্স, লিটারেচার, মেডিক্যাল সায়েন্সেস, ফার্মেসি, বায়োকেমিস্ট্রি, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সায়েন্স, সোসিওলজি, সিনেমা, ইনফরমেশন সায়েন্স, মর্ডান হিস্ট্রি, ফিলোসফি, থিয়েটার, মিউজিক, আরবান প্লানিং, পলিটিক্যাল সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিজ, হিউম্যান সায়েন্সেস, মেডিসিন, আর্থ সায়েন্সেস, ইলেকট্রনিক্স, ম্যানেজমেন্ট, এনাটমি, রেডিওলজি, ফার্মাকোলজি, রিহ্যাবিলিটেশন, কার্ডিওলজি, সার্জারি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স, এথলেটিকস, আর্কিওলজি, হিস্ট্রি, জিওগ্রাফি, হেরিটেজ অ্যান্ড ট্যুরিজম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ আরও অনেক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে ফ্রান্সে।
ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-
ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে ফ্রান্সের খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।
স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন
ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি ফ্রান্সে বসবাস করতে পারবেন না। ফ্রান্সে ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে
১. ফ্রান্সের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
২. ফ্রান্সে থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।
৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।
৫. ফ্রান্সে থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।
ফ্রান্সে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন
১. ফ্রান্সের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৩. ব্যাংক ড্রাফট।
৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।
৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।
দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।
ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭