নিউজিল্যান্ডয়ে উচ্চশিক্ষ্যা|

928

দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ এ দেশটি নর্থ আইল্যান্ড ও সাউথ আইল্যান্ড নামে মূলত দু’টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উন্নত দেশগুলোর একটি। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, সচ্ছল অর্থনীতি ও সামাজিক নিরাপত্তার কারণে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উচ্চশিক্ষার জন্য নিউজিল্যান্ডকেও বেছে নিচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। নিউজিল্যান্ডয়ে উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় নিউজিল্যান্ডয়ের সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।

নিউজিল্যান্ডের স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

১. অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়

২.ক্যানটারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়

৩.ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়

৪.মাসি বিশ্ববিদ্যালয়

৫.লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়

৬.ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়

৭.ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৮.অকল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্টাডি সিস্টেমঃ-

  • চেলর ডিগ্রী:- শিক্ষাগত যোগ্যতা নুন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমান এর হলে একজন শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার জন্যে আবেদন করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমান শিক্ষার্থী এর জন্য IELTS স্কোর সর্বোনিম্ন ৫.৫ . স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উচ্চ শিক্ষা নিতে IELTS স্কোর ৬-৬.৫ লাগে। নিউজিল্যান্ডে কোন শিক্ষার্থীর পড়াশুনায় বিরতি থাকলে তাকে অবশ্যই যথাযথ কারণ এবং প্রমানপত্র দেখাতে হয়।
  • মাস্টার্স ডিগ্রী :- মাস্টার্সে ভর্তির জন্য টোফেল সিবিটি স্কোর ২৪০ অথবা টোফেল আইবিটি স্কোর ৯৪-৯৫ অথবা আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ থাকতে হয়।
  • পিএইচডি :- পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ৩বৎসর পূর্ণকালীন গবেষণা করার সুযোগ পাওয়া যায় নিউজিল্যান্ডে।

ভর্তীর সময়:-

নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতি বছরে একটি শিক্ষার্থীকে তিনটি সেমিস্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই তিনটি সেমিস্টার শুরূর আগে আগে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তীর সুযোগ দেয়া হয়।

১.উইন্টার সেমিস্টার(জানুয়ারী- এপ্রিল)

২.সামার সেমিস্টার(মে- আগষ্ট)

৩.ফল সেমিস্টার(সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর)

ভর্তি ফিঃ-

নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই নিউজিল্যান্ডের  স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে। এক জরিপের হিসেব অনুয়ায়ী নিউজিল্যান্ডের উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে

  • আন্ডারর্গ্যাজুয়েট কোর্সের টিউশন ফি সাধারণত ২০,০০০ ইউএস ডলারের মতো হয় যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬,০০,০০০ লক্ষ্য টাকা।
  • ডক্টরেট, আ্যাসোসিয়েট ডিগ্রীর জন্য খরচ প্রায় ১৮০০০ ইউএস ডলারের মতো।যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৪,০০,০০০ টাকা।

স্কলারশীপ:-

প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে নিউজিল্যান্ডের আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। নিউজিল্যান্ডের সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং  বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্বলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-

নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে নিউজিল্যান্ডের খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।

যেসব বিষয়ে পড়া যাবে:

নিউজিল্যান্ডে যেসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেয়া যাবে সেগুলোর মধ্যে আছে সাইবার সিকিউরিটি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, ইকোনমিক্স, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এগ্রিকালচার, ল্যাঙ্গুয়েজ, সোশ্যাল সায়েন্স, ব্যবসায় প্রশাসন, একাউন্টিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফাইন আর্টস, ডিজাইন, হেলথ সায়েন্স, আইন, মেডিসিন, মিউজিক, নার্সিং, আইন, পদার্থবিদ্যা, গণিত, রসায়ন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ভেটেরিনারি, মেডিকেল ইমেজিং, ফিজিওথেরাপি, মেডিকেল রেডিয়েশন থেরাপি, ফার্মেসি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিসহ বিভিন্ন বিষয়।

স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন

নিউজিল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি নিউজিল্যান্ডে বসবাস করতে পারবেন না। নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে

১. নিউজিল্যান্ড সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।

২. নিউজিল্যান্ডে থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।

৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।

৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।

৫. নিউজিল্যান্ডে থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা

নিউজিল্যান্ডে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন

১. নিউজিল্যান্ডের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৩. ব্যাংক ড্রাফট।

৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।

৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।

৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।

দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।

ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।

ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড  বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,

হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,

ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।

মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭