বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তির বিনোদন পার্কের পথিকৃৎ ফ্যান্টাসি কিংডম ফ্যান্টাসি কিংডম থিম পার্ক মূলত ফ্যান্টাসি কিংডম নামেই পরিচিত। ফ্যান্টাসি কিংডম কে বাংলাদেশের ডিজনিল্যান্ড বলা চলে। এটি বিশ্বের প্রায় সব আধুনিক রাইড নিয়ে গড়া একটি বিনোদন পার্ক। আমাদের দেশের বিনোদন কেন্দ্রের অন্যতম ব্যন্ড হিসাবে খ্যাত ফ্যান্টাসি কিংডম পার্ক। বিনোদনপিপাসু যে কোনো বয়সের দর্শকের জন্য এ পার্কটি আদর্শ। ঢাকার নিকটস্থ সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ২০০২ সালে ২০ একর জায়গায় কনকর্ড গ্রুপের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এ পার্কটি প্রথমে থিম পার্ক পরিচয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে দেশে-বিদেশে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
উত্তেজনাকর সব রাইড নিয়ে তৈরি ফ্যান্টাসি কিংডম। এতে রয়েছে জায়ান্ট ফেরিস হুইল, জুজু ট্রেন, হ্যাপি ক্যাঙ্গার, বাম্পারকার, ম্যাজিক কার্পেট, সান্তা মারিয়া, জায়ান্ট স্প্লাস, জিপ অ্যারাউন্ড, পনি অ্যাডভেঞ্চার, ইজি ডিজিসহ ছোট-বড় সবার জন্য মজাদার সব রাইড। তাদের মধ্যে অন্যতম ওয়াটার কিংডম, পানির মধ্যে অফুরাণ বিনোদন যা কি না একমাত্র ওয়াটার কিংডমে সম্ভব। মাটির নিচ দিয়ে আকর্ষণীয় এক টানেল পার হয়ে তবেই এই ওয়াটার কিংডমে যাওয়া যায় দর্শনার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় আকর্ষণীয় কনসার্টসহ ড্যান্স শো, ডিজে শো, গেম শো, র্যাফেল ড্র এবং অ্যাক্রোব্যাট শো।
হেরিটেজ পার্ক:-
দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও চমত্কার সব রাইড নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হেরিটেজ পার্ক। বিনোদনপ্রেমী বাঙালিকে দেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ও চমত্কার সব রাইডে চড়ার সুযোগ রয়েছে হেরিটেজ পার্কে। হেরিটেজ পার্কে যেসব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আহসান মঞ্জিল, চুনাখোলা মসজিদ, কান্তজীর মন্দির, জাতীয় সংসদ ভবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার উল্লেখযোগ্য।
যেভাবে যাবেনঃ-
মঞ্জিল বাস সার্ভিস ঢাকার মতিঝিল, মহাখালী ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লোকেশন থেকে ফ্যান্টাসি কিংডমের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মঞ্জিল বাস মহাখালী, কাকলী, উত্তরা, টঙ্গী, কামাড়পাড়া হয়ে ফ্যান্টাসি কিংডমের প্রবেশমুখে এসে থামে।
ফ্যান্টাসি কিংডম সময়সুচিঃ
ফ্যান্টাসি কিংডম সপ্তাহের প্রতিদিনই খোলা থাকে। সাধারণ দিনগুলিতে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনগুলিতে সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।