রাঙামাটি জেলার ডিসি বাংলো

1374

পাহাড়ি কন্যা রাঙামাটির সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি। শহরের কালো ধোঁয়া থেকে দূরে চলে গিয়ে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিতে তাই ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে যায় রাঙামাটির কোলে। গহীন অরণ্য,পাহাড়ি প্রকৃতির অমোঘ রূপ, সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়, কাপ্তাই হ্রদের বয়ে চলা স্রোতধারা, ঝুলন্ত সেতু রাঙামাটিকে করেছে অনন্য। রাঙামাটির অসংখ্য আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হল রাঙামাটির ডিসি বাংলো। কালের ঐতিহ্য ধারণ করে দাঁড়িয়ে থাকা এই বাংলোটি দারুণ একটি বেড়ানোর জায়গা। আপনার রাঙামাটি ভ্রমণে সপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন এই বাংলো থেকে।

রাঙামাটি জেলার ডিসি বাংলোটি রাঙ্গামাটি সদরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর একটি বাংলো। এই জেলা প্রশাসকের বাংলোটি কাপ্তাই লেকের কাছেই অবস্থিত। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বাংলোটি আজো কালের ঐতিহ্যকে ধারণ করে স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। এই বাংলোতে দেখার মত অনেক কিছু রয়েছে। বাংলোর ভিতরে “কোচপানা” নামে একটি জায়গা আছে। মূল বাংলো হতে এ অংশটি বিচ্ছিন্ন। মূল বাংলোর সাথে একটি নয়নাভিরাম ব্রিজের মাধ্যমে কোচপানা সংযুক্ত। এ জায়গাটি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এই রঙিন ব্রিজ থেকে পড়ন্ত বিকেলে কিংবা শিশিরভেজা ভোরে অথবা পূর্ণিমা রাতে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য স্বর্গীয় বলে অনুভূত হয়। শীতকালে এই বাংলো থেকে অতিথি পাখি দেখা যায়। হ্রদের বুকে উড়ে যাওয়া ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সৌন্দর্য সত্যি মনোমুগ্ধকর।

তাছাড়া ডিসি বাংলোর ভেতরে রয়েছে ছোট্ট একটি জাদুঘর- যেখানে এ জেলার নানা ঐতিহ্যের নির্দশন সংরক্ষিত রয়েছে; রয়েছে প্রথম জেলা প্রশাসকের ভাস্কর্যসহ সকল জেলা প্রশাসকের ছবি। বাংলোর অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে ‘কোচপানা’ যার অর্থ ভালোবাসা। নিসর্গপ্রেমীরা এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত অবলোকন করতে পারে। ডিসি বাংলোতে অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করা যায়।

যেভাবে যাবেন:

ঢাকার ফকিরাপুল মোড় ও সায়দাবাদে রাঙামাটি গামী অসংখ্য এসি ও নন-এসি বাস রয়েছে। এই বাসগুলো সাধারণত সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা এবং রাত ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১১ টার মধ্যে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে হানিফ, শ্যামলী, এস আলম, ইউনিক, সৌদিয়া ইত্যাদি। এসকল বাসে ভাড়া পড়বে ৬০০-৯০০ টাকার মধ্যে। এসব বাসে চেপে যেতে হবে রাঙামাটি শহর। রাঙামাটি শহরের যে কোন জায়গা হতে অটোরিক্মা বা নৌপথে ডিসি বাংলোতে যেতে পারবেন।