দেনায় বন্ধ হয়ে গেলো জেট এয়ারওয়েজ

857

ঋণে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠলো না জেট এয়ারওয়েজ। টাকার অভাবে সাময়িকভাবে সব ফ্লাইট অপারেশন্স স্থগিত করেছে ভারতের এই বেসরকারি বিমান সংস্থা। জরুরি তহবিল হিসেবে ঋণদাতাদের কাছে ৪০০ কোটি রুপি চেয়েছিল তারা। কিন্তু ব্যাংকগুলো তাতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে নিজেদের গুঁটিয়ে নেওয়া ছাড়া আর উপায় দেখেননি সিইও বিনয় দুবে।

ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণায় জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বিষয়ে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন অধিদফতরের মহাসচিব ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেছে তারা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১০টা ২০ মিনিটে ভারতের অমৃতসার থেকে মুম্বাইয়ে জেট এয়ারওয়েজের শেষ ফ্লাইট (৯ডব্লিউ-২৫০২) পরিচালনা করা হয়। এদিন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুরেশ প্রভু জেট এয়ারওয়েজের বিষয় পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অন্যান্য বিমান সংস্থা যেখানে টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি করেছে, জেট এয়ারওয়েজ তখন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ফ্লাইট স্থগিতের মাধ্যমে নিজেদের অপারেশন্স কমিয়ে আনে। নতুনভাবে ঋণ না পেয়ে শেষমেষ বুধবার থেকে ফ্লাইট অপারেশন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিলো এই বিমান সংস্থা।

জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নরেশ গোয়েল পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আগেই। সোমবার (১৬ এপ্রিল) কর্মীদের এক চিঠির মাধ্যমে বিমান সংস্থাটি জানায়, কোনও ঋণ না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত রাখার সময় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এর একদিন পরে পুরো কার্যক্রমই স্থগিত করে দেওয়া হলো।

আন্তর্জাতিক রুটে যেকোনও ভারতীয় বিমান সংস্থার কার্যক্রম চালাতে ২০টি উড়োজাহাজ থাকা চাই। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে জেট এয়ারওয়েজ একের পর এক বিমানের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে আছে চারটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। এ কারণে তাদের বহর ছোট হয়ে আসে। তাই সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি আরও নাজুক হয়ে পড়ে।

১৯৯৩ সাল থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে জেট এয়ারওয়েজ। ইন্ডিগোর পর এটাই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা। কিন্তু তাদের ওপর এখন ৮ হাজার কোটি রুপি ঋণের বোঝা। এ কারণে অনেকদিন ধরে সংকটে ভুগছে এই বিমান সংস্থা।

এ বছরের জানুয়ারি থেকেই কর্মীদের বেতন দিতে পারছিল না জেট এয়ারওয়েজ। ওই মাস থেকে ব্যাংকের ঋণের কিস্তি বাকি হতে শুরু করে। ইতোমধ্যে নিলামের জন্য কয়েকটি বিমান সংস্থা ও বিনিয়োগকারী সংস্থাকে বেছে নিয়েছে জেট ওয়ারওয়েজের ঋণদাতা সংস্থাগুলো। আগামী ১০ মে’র মধ্যে তাদের দরপত্র জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাময় ভ্রমণ কিংবা পর্যটন খাতের সাথে সম্পর্কিত সেবা সমূহ নিয়া অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজ করে। সে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো “ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” একটি ভ্রমণ বিষয়ক সেবা প্রদানকারী সংস্থা। আমরা মূলত ভ্রমণ সংরান্ত সেবা সমূহ নিয়া কাজ করি। দীর্ঘদিন ধরে নিরঙ্কুশ ভাবে সকল প্রকার পর্যটক কিংবা ভ্রমণ পিয়াসু মানুষদের ভ্রমণ বিষয়ে বিভিন্ন সেবা এবং পরিশেবাদি প্রদান করার মধ্য দিয়ে আজ আমরা বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ট্র্যাভেল বিষয়ক সেবা প্রদান কারী সংস্থার সম্মান অর্জন করতে পেরেছি। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক অবস্থানে নিয়ে যেতে ছাই এবং আমরা সেই লিক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে বিদ্যমান সকল এয়ারলাইন্স  সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য এবং যেকোনো সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুণ।

ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড  বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,

হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,

ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।

মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯০– ৯১