বান্দরবান জেলা থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে পুরপাড়ায় বান্দরবান-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে বৌদ্ধ ধাতু জাদি অবস্থিত।বুদ্ধ ধাতু জাদি যা বান্দরবন স্বর্ণ মন্দির নামে সুপরিচিত, বাংলাদেশের বান্দরবন শহরের বালাঘাটা এলাকায় অবস্থিত। ধাতু বলতে কোন পবিত্র ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তুকে বোঝায়। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মন্দির। স্থানীয় ভাষায় বৌদ্ধ মন্দিরকে বলা হয় খিয়াং। বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী এবং থেরাভাডা বৌদ্ধধর্মের অনুসারীদের জন্য বৌদ্ধ ধাতু জাদিকে একটি অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আরাকান থেকে আগত বান্দরবানের আদিবাসী মারমা এবং মগ হল প্রভাবশালী।
বৌদ্ধ মন্দির স্থানীয়দের কাছে কিয়াং নামে পরিচিত। বুদ্ধ জাদি পাই কিয়াং চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবন জেলায় অবস্থিত। বান্দরবন জেলায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং এবং কেওক্রাডং অবস্থিত। শহরকে বেস্টন করে সাঙ্গু নদী বয়ে চলে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি বালাঘাট থেকে ৪ কিলোমিটার এবং বান্দরবান সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পাহাড়ে একটি লেক আছে। লেকের নাম দেবতা পুকুর। দেবতা পুকুরটি সাড়ে ৩ শ’ ফুট উঁচুতে হলেও সব মওসুমেই পানি থাকে। বৌদ্ধ ভান্তেদের মতে, এটা দেবতার পুকুর বলে এখানে সব সময় পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং। এই জাদিটি এখন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থ স্থানই নয় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়। মূলত সোনালি রঙের জন্যই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যতীত অন্যান্য ভ্রমণার্থীদের টিকিটের বিনিময়ে মন্দিরটি দর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মন্দিরের মূল অংশে অর্থাৎ যেখানে জাদিটি আছে সেখানে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। সন্ধ্যা ৬টার পরে মন্দিরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। মন্দির চত্বরে শর্ট প্যান্ট, লুঙ্গি এবং জুতা পায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবানে বাস চলাচল করে। তবে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে চট্রগ্রামে যেতে হবে। বান্দরবানে রিকশা অথবা অটোরিকশা ভাড়া করে ঘুরতে পারবেন এবং এই মন্দিরে আসতে পারবেন।