সিরাজগঞ্জ জেলাটি প্রাকৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ। এই জেলাতে যেমনি প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, বিখ্যাত বাক্তিদের স্মৃতি বিজরিত বিভিন্ন বাড়ি কিংবা কুঠি, রয়েছে তেমনি রয়েছে মানুষের তৈরি বিভিন্ন চোখধাঁধানো স্থাপনা। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি আকর্ষণ। এই সেতুর কোল ঘেসেই গড়ে উঠেছে এক ইকো পার্ক। যা স্থানীয় ভাবে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু ইকো পার্ক নামে পরিচিত।বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে বনবিভাগ কর্তৃক ১২০ একর জায়গার উপর ২০০৭ ইং সনে ইকোপার্ক স্থাপিত হয়েছে। এই পার্কে সময় কাটাতে প্রতিদিন শত শত দর্শনারথী আসেন।
রাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর কোল ঘেঁষে প্রায় ৬০০ একর জায়গার ওপরে গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক-নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক। যা সিরাজগঞ্জ জেলাসহ উত্তরবঙ্গের বিনোদনপ্রেমীদের একটি অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। ২০০৮ সালের ৯ মার্চ পার্কটি উদ্বোধনের পর থেকেই ধীরে ধীরে তা আকৃষ্ট করতে শুরু করেছে প্রকৃতি ও ভ্রমণপ্রেমীদের। বিভিন্ন প্রকার ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমারোহে গড়ে তোলা হয়েছে পার্কটি। পার্কের প্রবেশ পথ ধরে একদম শেষ প্রান্তে যমুনা নদীর পাড়ে সেতুর সীমানার কাছে গিয়ে ছবি তুলতে ভোলেন না পর্যটকরা।
বর্ষাকালে যমুনা নদীর পানি পার্কের সীমানা প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। যা খুবই উপভোগ্য হয় পর্যটকদের জন্য। বৃষ্টিভেজা সবুজ গাছপালা আর পার্কের বিভিন্ন পাখির ডাক দারুণ উপভোগ্য। নির্দিষ্ট অংকের টিকেট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে হয়। প্রাইভেট কার ও মোটরবাইক নিয়েও পার্কে প্রবেশের সুবিধা রয়েছে, তবে তার জন্য আলাদা টিকেট করতে হয়। সাধারণ দিনসহ বিভিন্ন ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য এই ইকোপার্কটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়। সিরাজগঞ্জ রোড পেরিয়ে কড্ডার মোড়ের পরেই এই ইকোপার্ক।