বন্দর নগরী চট্রগ্রামে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হল বাটালি হিল। চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় হল বাটালি হিল। এই পাহাড়ের উপর থেকে আপনি চট্রগ্রাম শহরকে পাখির চোখে দেখতে পারবেন। বঙ্গোপসাগরে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি বিশুদ্ধ অক্সিজেন সেবনের জন্য প্রতিদিন অনেক মানুষ এই পাহাড়ের উপর উঠে থাকেন। চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাস এলাকায় বাটালি হিল অবস্থিত।
বাটালী হিল ‘জিলাপি পাহাড়’ নামেও পরিচিত। জিলাপি বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন যাতে অনেক প্যাঁচ থাকে। বাটালী হিলের পাহাড়ী রাস্তাটিও জিলাপির মত দেখায়, এ কারণে তাকে ‘জিলাপি পাহাড়’ বলা হয়। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার সময় অন্য রকম একটা চমৎকার অনুভূতি হবে।
বাটালী পাহাড়ের উপরে পৌঁছে আপনি কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য জায়গা পাবেন। এ সর্বোচ্চ চূড়াটিকে বলা হয়- শতায়ু অঙ্গন। বাটালী হিলের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠলে পুরো চট্টগ্রাম শহরকে এক নজরে দেখে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়। বিপুল সংখ্যক লোক পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করে সতেজ বাতাসে শ্বাস নেয় এবং বঙ্গোপসাগরে সূর্যাস্তের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করে। অনেক বছর পূর্বে দূর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজের দিক নির্দেশনার জন্য বাটালি হিলের উপর একটি বাতিঘর ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাটালী হিলের উপরে একটি কামান স্থাপন করা হয়।
বিগত ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাটালী হিলে বাংলাদেশ পুলিশের সৌজন্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ১২ হাজার গাছ রোপন করা হয়। এসব গাছের মধ্যে আছে জলপাই, কাঁঠাল, কালজাম, লিচু, কমলা, আম, জাফরান, চন্দন, কফি, অর্জুন। উল্লেখ্য, বাটালী হিল বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি। উক্ত পাহাড়ের বিভিন্ন চূড়ায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস ও বেশ কয়েকটি বাংলো রয়েছে।
যেভাবে যাবেনঃ-
চট্রগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাস এলাকায় বাটালি হিল অবস্থিত। চট্রগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে মাত্র আধ ঘণ্টায় বাস, অটোরিকশা, টেম্পু অথবা ব্যাক্তিগত গাড়িতে করে বাটালি হিলে পৌছাতে পারবেন।