নদী মাত্রিক আমদের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা নদী দিয়ে ঘেরা। বিভিন্ন নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে আমদের বাংলার অনেক জনপদ। সিরাজগঞ্জ জেলাও তেমনি যমুনা নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠা। আর তাই এখানে রয়েছে বাঘাবাড়ী যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী বন্দর। এই নদী বন্দর দিয়া প্রতি দিন শত শত জাহাজ মালামাল পরিবহন করে। তাই এই বন্দরটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকার উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদী পশ্চিম তীরে স্থাপন করেন বাঘাবাড়ী নদী বন্দর। পদ্মা, যমুনা ও বড়াল নদীর সাথে সংযোগ থাকায় এই নদী বন্দরের ভৌগলিক ও ব্যবসায়িক গুরুত্ব অনেক বেশি। বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জ্বালানী তেল, সার, কয়লা, পাট উত্তরাঞ্চলের ১৬ টি জেলায় সরবরাহ করা হয়। বন্দরের তীরেই রয়েছে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশনের ৩টি তেলের ডিপো। পদ্মা, মেঘনা, যুমনা। নদীবন্দরের পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য এবং সারসরবরাহের মধ্য দিয়ে এখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের উত্তরঅঞ্চলের কৃষি কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার এই নৌবন্দর দ্বারা আনা হয়। এই বন্দর দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়লা, ডিজেল, রাসায়নিক সার নদী পথে আনা হয় ছোটো জাহাজে করে এবং তা উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় সরবরাহ করা হয়। এই বন্দরটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
এই বন্দরের সৌন্দর্য অনেক বেশি। বিরাট জেটির পাশে বড় বড় জাহাজের আনাগোনা যে কোন মানুষের মনে দাগ কাটবে। শুধু জাহাজেই নয় বরং অথই পানিতে ভেসে থাকা জাহাজ থেকে বিভিন্ন পণ্য উঠা নামার এই কর্মযজ্ঞ অনিন্দ্য সুন্দর। প্রতি দিন শত শত মানুষ এই বন্দর এর সামনে আসে তাদের যান্ত্রিক কোলাহলের একঘেয়েমি দূর করতে।
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়।