বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের আনাচে কানাচে জমিদার বাড়ির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই সকল জমিদার বারিগুলো ইতিহাস বুকে আগলে ধরে দাড়িয়ে আছে। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আজিম চৌধুরীর জমিদারবাড়ি তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী আসেন এই রাজবাড়ি পরিদর্শন করতে। কিন্তু বর্তমানে রাজবাড়িটি কালের বিবর্তনে তার রুপ হারাচ্ছে।
আনুমানিক আড়াইশ’ বছর আগে উপজেলার দুলাই গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন জমিদার আজিম চৌধুরী। সে সময় দুলাইর মতো নিভৃত পল্লীতে আজিম চৌধুরী নির্মাণ করেন রাজপ্রাসাদতুল্য দ্বিতল বিশিষ্ট একাধিক দৃষ্টিনন্দন এবং বিলাসবহুল ভবন। অত্যাধুনিক ডিজাইনের ওই বাড়িটির ছিল ১১টি নিরাপত্তা গেট। বাড়িতে প্রবেশের প্রথম গেটে ২টি আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কামান স্থাপন করার পাশাপাশি সর্বদা দু’টি বিশাল আকৃতির হাতি দণ্ডায়মান রাখা হতো। হাতি দু’টি জমিদার বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীর কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও জমিদারের ভ্রমণ কাজে ব্যবহূত হতো। সেই সাথে নিরাপত্তার জন্য বাড়িটির চারপাশ ঘিরে খনন করা হয় বিশালাকৃতির নিরাপত্তা দীঘি। এছাড়া বাড়ির অভ্যন্তরে জমিদার পরিবারের মেয়েদের জন্য খনন করা হয় একটি পুকুর, কর্মকর্তা কর্মচারীদের গোসলের জন্য বাড়ির বাইরে খনন করা হয় একটি বিশাল পুকুর এবং নামাজ আদায়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। আর ১২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত গোটা বাড়িটি ছিল দেশি বিদেশি গাছপালায় আবৃত। সবমিলিয়ে বাড়িটি ছিল এক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত।
কিভাবে যাবেন:-
ঢাকা থেকে পাবনায় বাসে যাওয়া যায়। এসি বাসে খরচ পড়বে ৩০০ টাকা আর নন-এসি বাসে খরচ পড়বে ৪০০ টাকা। পাবনা হতে ১৯ কি.মি. দুরে সিএনজি/নিজ পরিবহন যোগে সুজানগর যাওয়া যায়। সুজানগর উপজেলা থেকে সিএনজি যোগে পোড়াডাঙ্গা বাজার হয়ে চিনাখড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্ব দিকে পাবনা নগরবারী মহাসড়কের পার্শে দুলাই বাজারের ৫০০ মিটার দক্ষিন দিকে রিক্সা/ভ্যান যোগে জমিদার বাড়ী যাওয়া যায়।