গাজনার বিল| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1156

লোকচক্ষুর অন্তরালে নীলাভ বিলভাবুন আপনি নীল আকাশের সাদা মেঘের ছায়ায় সরু রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন আর আপনার দু পাশে স্বচ্ছ নীল পানি খেলা করছে , আছড়ে পড়ছে রাস্তার দু পাশে । এটি কোন স্বপ্নের কথা বলছি না , ইচ্ছে করলে আপনিও স্বপ্নের দেশে হারিয়ে যেতে পারেন কিছু সময়ের জন্য ।এমনই একটি নয়াভিরাম অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক শোভায় আচ্ছাদিত “গাজনার বিল ।এই বিলটিকে এক নজর দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে পাবনা জেলার সুজানরগর থানায়।  ছোট-বড় ১৬টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত গাজনার বিল । স্বচ্ছ নীলাভ পানির নিচে ছোট ছোট মাছে খেলা দেখে আপনি হয়তবা শৈশবেরসৃতি ফিরে পেতেপারেন।

পর্যটকদের নৌভ্রমণে মুখরিত হয়ে উঠছে পাবনার সুজানগরের ঐতিহাসিক গাজনার বিল। প্রতিদিন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা গাজনার বিলে এসে নৌভ্রমণ করছেন।

প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম এলেই গাজনার বিল নতুন পানিতে থই থই করে। আর এ পানি থাকে পৌষ মাস পর্যন্ত। বর্ষার শুরু থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ এ সময় শত শত সবুজ শ্যামল গ্রাম বেষ্টিত বিশাল বিস্তৃত ঐ গাজনার বিল সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়। সে কারণে এ সময় দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ পর্যটক ছুটে আসেন গাজনার বিল ভ্রমণে। ভ্রমণপিপাসু এসব বেশিরভাগ পর্যটক বিলে নৌভ্রমণ করে থাকেন। পর্যটকদের নৌভ্রমণের জন্য বিলের খয়রান ব্রিজ পয়েন্টে, চরবোয়ালিয়া পয়েন্টে এবং বোনকোলা ব্রিজ পয়েন্টে বাণিজ্যিকভাবে রাখা হয়েছে ইঞ্জিনচালিত বড়ো নৌকা, ডেঙি নৌকা ও স্পিডবোড। তাছাড়া পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে স্থানীয়ভাবে বিলের খয়রান ব্রিজ পয়েন্টে রাখা হয় বিশাল বাইচর নৌকা। পর্যটকরা এসব বাইচর নৌকায়ও বিল ভ্রমণ করে থাকেন। তবে বাইচর নৌকায় সাধারণত স্থানীয় পর্যটকরা ভ্রমণ করেন।

কিভাবে যাবেন:-

ঢাকা থেকে পাবনায় বাসে যাওয়া যায়। এসি বাসে খরচ পড়বে ৩০০ টাকা আর নন-এসি বাসে খরচ পড়বে ৪০০ টাকা। পাবনা থেকে সোজা রওনা হয়ে যেকোনো বাস বা সিএনজিতে চলে আসতে হবে সুজানগর। আর আসার পথেই আপনার এই দিগন্ত জোড়া জলরাশি চোখে পরবে। মনে হয় যেন আপনাকে ডাকছে।