বাংলাদেশের উওর পূর্ব অঞ্চলের অন্যমত একটি জেলা কিশোরগজ্ঞ।পুরাতন ব্রক্ষপুত্র,মেঘনা,কালনী,ধনু,নরসুন্দা,বাউরি নদী দিয়ে ঘেড়া জেলাটি হাওর অঞ্চল নামেও বিখ্যাত।বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর দেশের কৃষিজাত পণ্যের এক বিরাট অংশ উৎপাদিত হয় এই জেলাতে। তাছাড়া ইতিহাস ঐতিহ্য, বিভিন্ন স্থাপনা, দর্শীনিয় স্থান,পাড়াহ, সীমান্ত বর্তী অঞ্চল হিসাবেও কিশোরগজ্ঞ অন্যতম পরিচিত একটি জেলা।১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারী কিশোরগজ্ঞ জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তামানে এই জেলাটি ঢাকা বিভাগের অন্তরগত।
নাম করনের ইতিহাস:-
কিশোরগজ্ঞ জেলার নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে বিশদ বা বিস্তারিত কোন বর্ননা আজঅবদি পাওয়া যায়নি।তবে কিশোরগজ্ঞের প্রবীণ সাংবাদিক এবং লোক সাহিত্য গবেষক ও সংগ্রাহক মোহাম্মদ সাইদুর কিশোরগজ্ঞ ৭৭ প্রদর্শনীতে স্মরাণিকয় প্রকাশিত তার এক লেখাতে দাবিকরেন যে,বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত বত্রিশ প্রামাণিক পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণ দাশ প্রামাণিকের ষষ্ঠ পুত্র কিশোর প্রমানিকের নামের “কিশোর”অংশটুকু এবং তার নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই গজ্ঞের “গজ্ঞ” অংশটুকু একত্রিত করে কিশোরগজ্ঞ নাম রাখেন।
বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিত্ব:-
কিশোরগজ্ঞ জেলাটি অনেক প্রখ্যাত এবং বিখ্যতা মানুষদের জন্ম স্থল।যারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য,শিক্ষা,স্বংস্কৃতীতে তাদের অসামান্য অবদান রেখেছেন।
১)দ্বীজ বংশী দাশ(মনসামঙ্গলের কবি)
২)চন্দ্রবতী(প্রথম বাঙ্গালী মহিল কবি)
৩)প্রখ্যাত লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
৪)কবি,গল্পকার,নাট্যকার সুকুমার রায়
৫)ইতিহাসবেওা নীহাররজ্ঞন রায়
৬)প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন
৭)স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরূল ইসলামম
৮)বর্তামান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ খান
৯)আনন্দ মোহন বসু(অবিভক্ত ভারতের ছাত্র আন্দলনের জনক)
১০)প্রখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায় ছাড়া আরো প্রমুখ
দর্শনীয় স্থান:-
কিশোরগজ্ঞ জেলা প্রাণ প্রকৃতিতে ভরপুর।এখানে বিস্তীর্ণ জলা ভূমি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পুরাণ কীর্তি এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:-
কিশোরগজ্ঞ জেলাটি সরাসরি ঢাকার সাথে যুক্ত বলে একানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক আধুনিক মানের।ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে কিশোরগজ্ঞ জেলাতে পৌছানো যায়।তাছাড়া এই জেলাতে রেল সংযোগও রয়েছে।প্রতিদিন শত শত যাত্রী ট্রেনে করে যাতাযাত করে।