শেরপুর জেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিল। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পুর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হত। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। শেরপুর জেলা পূর্বে জামালপুর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এটিকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
নামকরনের ইতিহাস:-
বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশ কাহনিয়া অঞ্চল দখল করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় শেরপুর।
ভৌগোলিক সীমানা:-
উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।
অর্থনীতিঃ-
শেরপুরের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিভিত্তিক, যদিও অকৃষি অর্থনৈতিক কার্যক্রম জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। জেলার মোট ৩,৩৫,৪৬০ বসতবাড়ির মধ্যে, ৬০.১২% খামার যা বিভিন্নরকম ফসল উত্পন্ন করে যেমন স্থানীয় ও উচ্চফলনশীল ধান, গম, পাট, সরিষা, আলু, ডাল, বিভিন্নরকম শাকসবজি, তামাক এবং অন্যান্য। অকৃষি কর্মকান্ডেও জেলার অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্র বহুলাংশে ধানের চাতালের উপর নির্ভরশীল। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কুঁড়া, তুষ সহ অনেক ছোট ছোট শিল্পের যোগান ও পরিবহন খাতের গ্রাহক হয়ে সাহায্য করছে এইসব চাতাল।
শেরপুর ৫ টি উপজেলা
নকলা
নালিতাবাড়ী
শেরপুর সদর
শ্রীবরদী
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব:-
শের আলী গাজী
রবি নিয়োগী
শহীদ শাহ মুতাসিম বিল্লাহ খুররম (মরণোত্তর বীর বিক্রম)
আফসার আলী
আবদুল্লাহ-আল-মাহমুদ
খন্দকার আবদুল হামিদ
আতিউর রহমান আতিক এম.পি
আলহাজ জয়নাল আবেদীন
করম শাহ
টিপু শাহ
গোপালদাস চৌধুরী
জানকুপাথর ও দোবরাজপাথর
নিগার সুলতানা (ক্রিকেটার)
ফাতেমা তুজ্জহুরা
মতিয়া চৌধুরী
মুহাম্মদ কামারুজ্জামান
মোতাসিম বিল্লাহ খুররম
বিখ্যাত খাবার:-
ছানার পায়েস
ছানার চপ
বিখ্যাত স্থান:-
গড় জরিপার দুর্গ
দরবেশ জরিপ শাহের মাজার
বারদুয়ারী মসজিদ
হযরত শাহ কামালের মাজার
শের আলী গাজীর মাজার
কসবার মুগল মসজিদ
ঘাঘরা লস্কর বাড়ী মসজিদ
মাইসাহেবা মসজিদ
নয়আনী জমিদারের নাট মন্দির
আড়াই আনী জমিদার বাড়ি
পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি
গজনী অবকাশ কেন্দ্র
বন্যহাতির অভয়ারন্য নয়াবাড়ির টিলা
শেরপুরের পানিহাটা-তারানি পাহাড়
সুতানাল দীঘি
মধুটিলা
নয়াবাড়ির টিলা
কিভাবে যাবেন:-
সড়ক পথে ঢাকা হতে শেরপুরের দূরত্ব ২০৩ কিলোমিটার। ঢাকার মহাখালি বাস স্টেশন থেকে শেরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসে শেরপুর আসা যায়।
শেরপুরে সরাসরি ট্রেনে আসা যায় না। ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যেকোন ট্রেনে জামালপুর পর্যন্ত আসা যায়। জামালপুর থেকে সিএনজি অথবা বাস যোগে শেরপুর আসতে হবে। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন জামালপুরের উদ্দেশ্যে ছাড়ে।