বারদুয়ারী মসজিদ| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

2231

বারদুয়ারী মসজিদটি শেরপুরের ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন। ধারণা করা হয় ভারতীয় উপমহাদেশ যখন ইংরেজদের শাসনের অধীনে ছিলো, তার আগে বারদুয়ারী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইংরেজদের শাসনামলে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মসজিদটি মাটির নিচে চাপা পরে যায় এবং স্থানটি জঙ্গলে রূপান্তরিত হয়। মানুষ ভয়ে জঙ্গলের দিকে আসতে সাহস পেতো না। এ মসজিদটি মাটির নীচে বহু বছর চাপা পড়েছিল। তবে এ মসজিদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। চাপাপড়া মসজিদের উপর বিশাল এক বৃক্ষ দীর্ঘদিন শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে এর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

স্থাপত্য নির্দেশনার অন্যতম  গড় জরপিা বার দুয়ারী মসজদি । এটি  এ অঞ্চলরে  ঐতিহ্য । জনশ্রুতিতে আছে, আনুমানিক  ৭-৮ শত বৎসর র্পূবে জরিপ শাহ  নামক  এক মুসলমি  শাসক  কর্তৃক  নির্মিত হয়েছিল এই মসজদিট। তবে  এটি র্বতমানে  পুন: নির্মান  করা হয়েছে। আসল মসজিদটি ভূ গর্ভেই রয়ে গেছে। তার উপরেই  স্থাপতি  হয়ছেে বর্তমান মসজিদটি। শ্রীবরদী উপজেলা থেকে দক্ষিণপূর্ব দিকে ১২ কি: মি দূরে বারদুয়ারী মসজিদ অবস্থিত। মসজিদটিতে ১২ টি দরজা, ৩টি জানালা ও ৩টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির পূর্বপার্শ্বে ৯টি দরজা এবং উত্তর পার্শ্বে ২টি দরজা ও ১টি জানালা আছে।কথিত আছে, মসজিদটি বর্তমানে যে অবস্থানে আছে মোগল আমলে উক্ত স্থানে মসজিদটি সেনা ক্যাম্পের মসজিদ ছিল। কালের বিবর্তনে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধসে যায় এবং মাটির নিচে তলিয়ে যায়। মসজিদের উপর গড়ে উঠে মাটির স্তুপ আর মাটির স্তুপের টিলার উপর বিভিন্ন প্রকার গাছও গজায়।

সেই পুরাতন মসজিদের ইটগুলো চারকোণাওয়ালা গোলাপফুল মার্কা ছিল। মসজদিটরি ইটরে ধরণ কৌশলে খান বাড়ী মসজদিরে ইটরে  সাথে যথষ্ঠে মলি লক্ষ্য করা যায় । প্রাচীন রীতরি সাথে আধুনকি রীতরি সংমশ্রিণে মসজদিটি নর্মিতি হয়ছে যা  সহজইে র্দশকদরে মন জয় কর। অপরূপ সুন্দর এই   মসজদিটি আসলে পুরার্কীতরি নর্দিশন । ১২টি দরজা থাকায়  এর নাম করণ করা  হয় বার  দুয়ারী মসজদি। র্পূবওে তাই ছলি। অর্পূব কারুকাজ সমবলতি মহেরাব ও  র্কাণশি গুলো  সকলরে দৃষ্টি কাড়। বর্তমানে বিশেষকরে শুক্রবারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিরনী, টাকা-পয়সা মানত করে অনেক লোকজন মসজিদে আসেন।

কিভাবে যাবেন:-

সড়ক পথে ঢাকা হতে শেরপুরের দূরত্ব ২০৩ কিলোমিটার। ঢাকার মহাখালি বাস স্টেশন থেকে শেরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসে শেরপুর আসা যায়। শেরপুর জেলা সদর থেকে দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। শেরপুর থেকে আসতে চাইলেও সিএনজি বা ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা রিজার্ভ নিতে হবে।