সামনে চোখ জুড়ানো দিগন্ত জোড়া সবুজ পাহাড়। পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসা ঝরনাধারা। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বহমান বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করা ফেনী নদী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬শ’ ফুট উপরে অবস্থিত ভগবান টিলা। এ টিলা হয়ে উঠতে পারে ‘পাহাড়ের আরেক সাজেক’। জনশ্রুতি আছে, ভগবান টিলা থেকে ডাক দিলে স্বয়ং ভগবান তা শুনতে পান।
মাটিরাঙা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিমে দূরত্ব আনুমানিক ৮৫ কিলোমিটার। পুরো পথ জুড়ে সাজানো ল্যান্ডস্কেপ। অনাবিস্কৃত ঝরনা,অদেখা পাহাড় এবং নৃতাত্ত্বিক মানুষের বসবাস। ভগবান টিলায় পথে পথে রৌদ্র ঝলমল দিন। পাথে দ’ুপাশে সাজানো ল্যান্ডস্কেপ এর চেয়ে বেশি কিছু। পাহাড়ের সুবজাভ রঙ আগের দিনের বৃষ্টিতে আরো উজ্জ্বল হয়েছে । দীর্ঘ ভ্রমণে ক্ষনিকের বিরতিতে অচেনা পাখি আর পাহাড়ের মিলনের সুর । মাটিরাঙা থেকে ভগবান টিলার পথে পথে ছুটতে একে একে পাহাড়, দলছুট বাড়ি,নীল আকাশে কোথাও কোথাও পাখির ঝাঁক। ভগবান টিলায় পাহাড় চূড়োয় সূর্যের হাতছানি। সেই সঙ্গে শেষ বিকেলের মায়াবী আলোয় অপরূপ দৃশ্যপট ভেসে উঠে। ভগবান টিলার পথে চোখ ধাঁধানো সব দৃশ্যপট। পাহাড়ের কোলে জুমঘর। মেঘের ছায়ায় ঢেকে আছে গ্রামগুলো। কাশবন ঘেঁষা পাহাড়ের কোলজুড়ে রংধনুর রেখা, সবুজ পাহাড়কে যেন আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। পাহাড়ে ভাজে ভাজে পাহাড়িদের বসতি।
স্থানীয়দের কাছে বি-টিলা নামেই অধিক পরিচিত এটি। মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের শেষপ্রান্তে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা তাইন্দংয়ে অবস্থিত ‘ভগবান টিলা’। টিলাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে পাহাড়ের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে- এমনটিই মনে করছেন স্থানীয়রা।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন, শ্যামলী, হানিফ, শান্তি পরিবহন ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে চড়ে খাগড়াছড়ি যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে ৪৭০ থেকে ৫২০ টাকা। এছাড়া বিআরটিসি পরিবহনের বাসে চড়েও যেতে পারেন খাগড়াছড়ি। এরপর খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি বা অটোতে করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পৌঁছে যেতে পারবেন।