রাবার গাছের বাগান

1824

রাবার গাছের সবুজ পাতাগুলো বাতাসের সঙ্গে দুলছে। ঘন এসব গাছের মাঝ দিয়ে হাঁটা দিলে সবুজের সমারোহে হারিয়ে যাবে মন। গাছের ছায়ায় বসলে জুড়িয়ে যাবে শরীর ও প্রাণ। ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়, টিলা ও বিস্তৃত সমতল পাহাড়ের মধ্যে এ রাবার বাগানের চারপাশে তাকালেও দেখা মিলবে অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। কক্সবাজার থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলায় এর অবস্থান। সারা বছর ভ্রমণের উপযোগী একটি জায়গা। সারি সারি রাবারগাছের বাগানে ঢুকলে মন হারিয়ে যায় সবুজের সমারোহে। যতই ভেতরে ঢুকবেন ততই যেন বিশালতা মুগ্ধ করবে আপনাকে।

১৯৬০ সালে বন বিভাগ অনাবাদি জমি জরিপ করে পরীক্ষামূলকভাবে রাবার উৎপাদনের জন্য ৭১০ একরের একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের রাউজানে ১০ একর এবং বড় পরিসরে কক্সবাজারের রামুতে ৩০ একরে বাগান করা হয়। পরে ১৯৬২ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বনশিল্প করপোরেশনের কাছে রাবার চাষের প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যস্ত করা হয়। বর্তমানে দুই হাজার ৬৮২ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত বাগান। এর মধ্যে এক হাজার ১৩০ একর এলাকা থেকে লিকুইড বা কষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। রাবার বাগানে বর্তমানে উৎপাদনক্ষম গাছ রয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার। এসব গাছ থেকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ কেজি রাবার উৎপাদন হয়। প্রতিদিন দুই হাজার কেজি রাবার উৎপাদন করা হয় বাগানের কারখানায়।

রেস্ট হাউসের চর্তুদিকে আরাকান সড়কের উভয় পাশের বিশাল এলাকার জুড়ে রাবার বাগানটি অবস্থিত। পাহাড়ের ওপরে এ রাবার বাগানের মধ্যে একাধিক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। যেখানে পযর্টকরা আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন। এমনকি বনভোজনও করতে পারেন। পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেটসহ একাধিক খেলায় মেতে ওঠার সুবিধা রয়েছে।

যেভাবে যাবেনঃ-

সড়কপথে রামু বাইপাস থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামুর রাবার গাছের বাগান। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিনিবাসযোগে চলে আসুন রামুতে।