আদিনাথ জেটি

1990

মহেশখালী দ্বীপটি কক্সবাজার মূল ভূ-খন্ডের সাথে সংযুক্ত ছিল। মহেশখালী একদা গাছপালা ঢাকা গভীর অরণ্যে ভরপুর ছিল। হিংস্র বাঘ, ভাল্লুক ও হাতির চারণভূমি রূপে অনাবাদি অবস্থায় পতিত জমি ছিল। ১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপটি কক্সবাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মহেশখালী জেটি নির্মিত হওয়ার আগে লোকজন মহেশখালীতে যাতায়াত করতে বিব্রত বোধ করতেন। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এতদ্ঞ্চলে বহুল প্রতীক্ষিত জেটিটি নির্মিত হয়।

মহেশখালীর অন্যতম আকর্ষণ আদিনাথ জেটি। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম জেটি। আদিনাথ মন্দিরের পাদদেশ হতে শুরু হয়ে মহেশখালী চ্যানেলে গিয়ে পড়েছে এই সুদীর্ঘ জেটি। পিছনে শ্যামল মৈনাক পাহাড়, অন্যদিকে নোনাজলের সমূদ্র, দুপাশে ঘন নিবিড় প্যারাবন জেটিটিকে এক অপূর্ব নৈসর্গিক মহিমায় উদ্ভাসিত করেছে। সোলার লাইটের মিষ্টি আলোয় জেটিটির সৌর্ন্দয্য রাতের বেলায় পর্যটক মনকে আকৃষ্ট করে। জ্যোৎস্না রাতে জেটিতে বসে  মেঘ ও চাঁদের লুকোচুরি খেলা দেখতে দেখতে যে কোন মানুষের  মনে কবিতার জন্ম নেবে।

দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মূল প্রবেশদ্বার ০২ (দুই) জেটি; ০১ গোরকঘাটা জেটি, ০২ আদিনাথ জেটি। গোরকঘাটা জেটিটি ১৯৮৬সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত হয়। মূলত এই জেটিটি নির্মানের পর হতে জেলা শহর কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ অনেক সহজতর হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোরকঘাটা জেটি উদ্ভোধন করেন। উভয় জেটি দিয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ মহেশখালী তথা মহেশখালীর বিশ্বখ্যাত আদিনাথ মন্দির দেখতে আসে। এই ০২ টি জেটি দিয়ে স্পীডবোট এবং ইঞ্জিন বোটের মাধ্যমে মহেশখালীবাসী জেলা শহর কক্সবাজারে যাতায়াত করে। আদিনাথ জেটি ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মাণ করে।