সুন্দরবন-৭ লঞ্চটি ঢাকা বরিশাল রুটে চলাচল করে। ঢাকার সদরঘাটে সরাসরি গিয়ে পুরো লঞ্চটি রিজার্ভও করা যেতে পারে। লঞ্চটির ধারণক্ষমতা ৯৯০ জন। লাইফ বয়া রয়েছে ১৮০ টি।
যোগাযোগ
- সদরঘাট অফিস বা বরিশাল অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে যেকোন তথ্যের জন্য। যোগাযোগের ফোন নম্বর:+৮৮-০১৭১৮-৬৬৪৭০০।
যাত্রার সময়
- রাত ০৮:৪৫ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভোর ০৪.০০ টায় বরিশাল পৌঁছে যায়।
- বরিশাল থেকে একই সময়ে (রাত ০৮:৪৫) সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং ভোর ০৫.৩০ টায় ঢাকা পৌঁছে ।
- ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে একদিন পর পর বরিশালের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
কেবিন বুকিং
- ঈদের সময় কেবিন বুকিংয়ের জন্য সরাসরি যোগাযোগ করতে হয়।ফোনে বুকিং দেওয়া যায় না।
- ঈদ ব্যতীত অন্য সময়ে ফোনে কেবিন বুকিং দেওয়া যায় । ফোনে বুকিং দিলে লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে লঞ্চে উপস্থিত থাকতে হয়।
ধারণক্ষমতা ও ভাড়া
- লঞ্চের কেবিনগুলোতে ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত প্রত্যেক যাত্রীর জন্য একটি করে ডেকের টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।
- এই লঞ্চে ৪৭ টি সিংগেল কেবিন, ৪৩ টি ডাবল কেবিন, ৬৫ টি সোফা এবং ০৪ টি ভিআইপি কেবিন রয়েছে।
- এম.ভি সুন্দরবন-৭ এ যাত্রীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষধ এবং সেলুনের ব্যবস্থা রয়েছে ।
শ্রেণী | ধারনক্ষমতা | ভাড়া |
ডেক | – | ২০০/- |
সিংগেল কেবিন | ০১ | ১০০০/- |
ডাবল কেবিন | ০২ | ১৮০০/- |
ফ্যামিলি কেবিন | – | ১৭০০/- |
ভিআইপি কেবিন | ০২ | ৪০০০/- |
সোফা | – | ৪৫০/- |
ঢাকা বরিশাল রুটে চলাচল করা অন্য লঞ্চগুলোর যোগাযোগ নম্বর নিচে তুলে দেওয়া হল :
লঞ্চের নাম | যোগাযোগ | ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় |
এম.ভি টিপু | – | রাত ০৮.১৫ |
এম.ভি দ্বীপরাজ | – | রাত ০৮.১৫ |
এম.ভি পারাবাত-২ | ০১৭১১২৭৬৫৯৭ | রাত ০৮.১৫ |
এম.ভি পারাবাত-৭ | ০১৭১১৩৪৪৭৪৫ | রাত ০৮.৩০ |
এম.ভি কীর্তনখোলা-১ | – | রাত ০৮.৩০ |
এম.ভি সুন্দরবন-৮ | ০১৭১১৪৪১০২৮ | রাত ০৮.৩০ |
এম.ভি কালামখান-১ | ০১৭১১৩২৪৬২৯ | রাত ০৮.৪৫ |
এম.ভি পারাবাত-৯ | ০১৭১১৩৪৪৭৪৭ | রাত ০৮.৪৫ |
এম.ভি সুরভী-৮ | ০১৭১১৪৫৩৯৮৯ | রাত ০৮.৪৫ |
এম.ভি সুরভী-৭ | ০১৭১১৩৩২০৮৪ | রাত ০৯.০০ |
এম.ভি সুন্দরবন-৭ | ০১৭১৮৬৬৪৭০০ | রাত ০৯.০০ |
এম.ভি পারাবাত-১১ | ০১৭১১৩৩০৬৪২ | রাত ০৯.০০ |
সঙ্গে নেওয়া পণ্য সামগ্রীর তালিকা ও কুলির মজুরি
ক্রমিক নং | বিবরণ | মালামালের পরিমাণ | মজুরী হার টাকায় |
১ | বিভিন্ন ধরনের লাগেজ / ব্যাগেজ
রাস্তা থেকে লঞ্চ/ স্টিমার পর্যন্ত অথবা লঞ্চ/স্টিমার থেকে রাস্তা পর্যন্ত পিঠে/মাথায়/হাতে বহযোগ্য। (একজনা কুলির ক্ষেত্রে) |
অনাধিক ১০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ১০/- |
অনাধিক ২০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ২০/- | ||
অনাধিক ৩০ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৩০/- | ||
অনাধিক ৪০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ৩০/- | ||
অনাধিক ৪০ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৪০/- | ||
অনাধিক ৬০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ৪০/- | ||
অনাধিক ৪০ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৫০- | ||
২ | স্টীল/কাঠের আলমারী
(একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে) |
প্রতিটি (সর্বোচ্চ ওজন ১০০ কে,জি পর্যন্ত) | ১০০/- |
৩ | কাপড়ের গাইট
(একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে) (ভ্যান বা মাথায়) |
প্রতিটি (৫০ কে.জি পর্যন্ত) | ৫০/- |
৫০ কেজির ঊধ্বে প্রতি ২০ কেজির জন্য | ১০/- | ||
৪ | কাঠের/স্টীলের খাট সাকুল্যে | প্রতিটি | ১০০/- |
৫ | কাঠের /স্টীলের/বেতের টেবিল/চেয়ার | প্রতিটি | ২০/- |
৬ | ফ্রিজ (সকল আয়তনের) | প্রতিটি | ৫০/- |
৭ | টেলিভিশন (সকল ধরনের) | প্রতিটি | ২০/- |
৮ | হার্ডওয়্যার মালামাল/ অন্যান্য মালামাল
(কার্টুন/প্যাকেট/ঝুড়ি ইত্যাদি) |
৫০ কে.জি পর্যন্ত প্রতিটি | ৪০/- |
৯ | মোটর সাইকেল | প্রতিটি | ২৫/- |
১০ | বাইসাইকেল | প্রতিটি | ২০/- |
১১ | সিলিং ফ্যান/টেবিল ফ্যান/ অন্যান্য তৈজস পত্র | প্রতিটি | ২০/- |
বিবিধ
- জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা থাকে।
- লঞ্চ চরে আটকে গেলে অনেক সময় অন্য লঞ্চের সাহায্য নেয়া হয়। অনেক সময় লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হয়।
- দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ নম্বর সতর্ক সংকেত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হলে আর চলাচল করে না।