স্লোভাকিয়া ভিসা আবেদন

2039

স্লোভাকিয়া ভিসা আবেদন

 

ইউরোপে উচ্চ শিক্ষার সর্বশেষ ধাপের নাম ভিসা আবেদন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সচেতনভাবে ভাবে এবং গুরুত্বের সহিত এই ধাপটির কাজ সম্পন্ন করতে হয়।স্লোভাকিয়া ভিসা আবেদন

উচ্চ শিক্ষার জন্য আশা প্রত্তাশা নির্ভর করবে ভিসা আবেদনের উপর। প্রতিটি ইউরোপীয় দেশের ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা ভিন্নতর হয়। সে অর্থে ভিসা আবেদনের প্রাক্বালে অবশ্যই জেনে নিতে হবে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ব স্ব দূতাবাসে জমা দিতে হবে।

যেহেতু চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়ার দূতাবাস বাংলাদেশে নেই সেহেতু আপানকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নিউ দিল্লীতে যেতে হবে। তাই বুজতেই পারছেন ভিসা আবেদনের কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে আপনাকে নিউ দিল্লীতে ঝামেলা পোহাতে হবে। আপনারা যেন কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে না হয় সেকারণে এই আর্টিকেলে আমরা  চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং এস্তোনিয়ার ভিসা আবেদনের পদ্ধতি, কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং এছাড়া ভিসা আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

 

আশাকরি  চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং এস্তোনিয়ার ভিসা আবেদনের কার্যক্রম সফলভাবেই সম্পন্ন করতে পারবেন। একটি বিষয় মনে রাখবেন ভিসা আবেদনের জন্য যাবতীয় সকল তথ্য উপাত্ত এবং কাগজপত্র সকল কিছু যেন নির্ভেজাল হয়। কেউ চালাকি করে এখানে জাল কিছু দিবেন না। মনে রাখবেন সঠিক বা নির্ভেজাল কাগজপত্র ভিসা আবেদন অনুমোদন পাওয়ার মূল নিয়ামক।

 

 

বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বের যেকোন চেক দূতাবাস/স্লোভাক দূতাবাস/স্লোভেনিয়া দূতাবাস/এস্তোনিয়া দূতাবাসে  ভিসার আবেদন করতে পারবে। ধরুন আপনি মালায়েশিয়া কিংবা ইউরোপের কোন দেশে বৈধভাবে লং টার্ম বেইসড বসবাস করছেন সেক্ষেত্রে আপনি মালয়েশিয়া কিংবা ইউরোপের যে দেশে থাকছেন সেখানে থাকা চেক দূতাবাস/স্লোভাক দূতাবাস/স্লোভেনিয়া দূতাবাস/এস্তোনিয়া দূতাবাসে  লং টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আমাদের ভিসা প্রসেসিং ফি  ১৮০০টকা (অর্থ প্রদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

অনেক সময় দেখা যায় আপনি যে দেশে রয়েছেন সে দেশে চেক দূতাবাস/স্লোভাক দূতাবাস/স্লোভেনিয়া দূতাবাস/স্লোভাকিয়া দূতাবাস  নেই তখন আপনাকে জানতে হবে আপনার দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক চেক প্রজাতন্ত্র/স্লোভাক প্রজাতন্ত্র/স্লোভেনিয়া /এস্তোনিয়া  কোন দেশের চেক দূতাবাস/স্লোভাক দূতাবাস/স্লোভেনিয়া দূতাবাস/এস্তোনিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে হচ্চে এবং সে দেশে গিয়ে লং টার্ম ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

ভিসা আবেদনের জন্য পোশাক-পরিচ্ছদের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।  অবশ্যই ফর্মাল পোশাক পরিধান করে দূতাবাসে যাবেন, ছেলেরা ইন করে যাবেন এবং ইচ্ছা হলে টাই পড়তে পারেন এবং অবশ্যই দাড়ি কেটে যাবেন (সুন্নতি দাড়ি থাকলে ভিন্ন বিষয়)।  মেয়েরা সেলোয়ার কামিজ পরিধান করবেন। ফর্মাল পোশাকের রঙ দৃষ্টিকটু যেন না হয়। অতিরিক্ত পারফিউম ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।

ইন্টার্ভিউয়ের দিন নার্ভাস অনুভব করলে দূতাবাসের সামনে একটু হাটা চলা করুণ এবং কাড়ো সাথে কথা বলুন। দেখবেন কিছুটা হলেই ফ্রি লাগবে।

তো ঘোরে আসুন প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্য এই দেশে

 

স্লোভাকিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে)
  • সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি ছবি। সাদা পটভূমিতে ছবি তুলতে হবে, চোখে কালো চশমা বা মাথায় টুপি জাতীয় কিছু রাখা যাবে না আর ছবিতে অবশ্যই পুরো মুখমণ্ডল আসতে হবে।
  • ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
  • পাসপোর্টের ডাটা পেজগুলোর ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।
  • অন্তত ৩০ হাজার ইউরো মূল্যমানের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হবে।
  • জমা দেয়া প্রতিটি কাগজের মূলকপির সাথে একটি করে ফটোকপিও দিতে হবে।
  • আবেদনপত্রের ভাষা অথবা ফর্মের ঘরগুলো ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। সুইডিশ, ডেনিশ, অথবা নরওয়েজিয়ান ভাষাতেও পূরণ করা যাবে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা মা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতিপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকে অবশ্যই দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
  • প্রতিটি ভিসার জন্য প্রায় ৬০ ইউরো সমপরিমাণ টাকা এডমিনিস্ট্রেশন ফি হিসেবে জমা দিতে হয়। ভিসা সাক্ষাতকারের পরপরই এই ফি দিতে হয়।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • স্লোভাকিয়া ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগে ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়া উচিত।
  • সাধারণত ১২-১৫ কর্মদিবসের মধ্যেই পোল্যান্ড ভিসা ইস্যু হয়ে যায়। তবে কখন কখন ১ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
  • ভিসা ইস্যু হওয়ার পর পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়ই ভিসা কিভাবে দেয়া হয়েছে সেটা দেখে নেয়া উচিত। কোন সমস্যা থাকলে সাথে সাথেই ভিসা কাউন্টারে জানাতে হবে।
  • শুধু ভিসা আবেদনের সময়ই নয়, স্লোভাকিয়া প্রবেশের সময়ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হয়। কারণ সেনজেন ভিসাই স্লোভাকিয়া  প্রবেশের একমাত্র নিশ্চয়তা নয়। তাই আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ ভ্রমণের সময় সাথে রাখতে হবে।

 ভিসা আবেদন প্রোসেস সংক্রান্ত:

যোগাযোগ করুন আমাদের ভিসা সহায়ক ব্যবাস্হাপক এর সাথে

মোবাইল:(+88) 01978569293)

ওয়েবসাইট:  www.airwaysoffice.com
ই-মেইল: myvisaapplicationinfo@gmail.com

উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীকে স্লোভাকিয়া টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট আবেদন করতে হবে।  আপনি ১ বছরের টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করবেন এবং আপনার আবেদনের পর স্লোভাকিয়া ফরেন পুলিশ জমা দেওয়ার সকল কাগজপত্র এবং ইন্টার্ভিউ পারফর্মেন্স যাচাই বাচাই করবে।

যদি স্লোভাকিয়া ফরেন পুলিশ আপনার আবেদন এপ্রুভ করে তাহলে আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ড ব্যাবহার করেই আপনি স্লোভাকিয়ায় ফ্লাই করতে পারবেন। স্লোভাকিয়া টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট প্রসেসের ২-৩ মাস সময় নেয়।

নিউ দিল্লির স্লোভাকিয়া দূতাবাসের সংক্ষিপ্ত বিবরন

  • এডমিসান পাবার সাথে সাথে সর্বপ্রথম আপনাকে নিউ দিল্লির স্লোভাকিয়া দূতাবাসেরস্লোভাকিয়া ভিসা এপয়েন্টমেন্ট  ওয়েভ লিংক থেকে ভিসা আবেদনের এপয়েন্টমেন্টের তারিখ বুকড করতে হবে
  • এপয়েন্টমেন্ট পাবার পর ভিসা আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্রের ব্যবস্থা করুণ
  • উল্লেখিত এপয়েন্টমেন্টের দিন আপনার নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো জমা দিন
  • কিছুক্ষণ পর আপনাকে ইন্টার্ভিউয়ের জন্য ডাকা হবে
  • ইন্টার্ভিউ শেষে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে
  • ইন্টার্ভিউয়ের দিন অথবা এরপরের দিন আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দেশে চলে আসুন ২-৩ মাস পর দূতাবাস আপনাকে ফলাফল জানাবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে আবারোও নিউ দিল্লি গিয়ে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট সংগ্রহ করুণ
  • ভিসা আবেদন কমপক্ষে ক্লাস শুরু হবার ২-৩ মাস পূর্বে করতে হবে

স্টুডেন্ট ভিসা/লং টার্ম ভিসার আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা

  • নিজ হাতে পূরণকৃত টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট ভিসা আবেদন ফর্ম ( এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিনফর্ম ১, ফর্ম ২, ফর্ম ৩, ফর্ম ৪, ফর্ম ৫  
  • এপয়েন্টমেন্টের প্রিন্ট কপি
  • ভিসা আবেদন ফর্মের জন্য ২ কপি ৪*৫ cm সাইজের ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হবে। ছবিতে অবশ্যই আপনার ফেইস বড় দেখাতে হবে। ছবিটি কিভাবে উঠাতে বলবেন তাঁর একটি আইডিয়া দিচ্ছি। ছবির নিচের অংস টুকু আপনার গলার একটু নিচ থেকে হবে। ছবির সাইডে কোন প্রকার বোয়ারডার হবে না। ছবিতে এডিটিং কম করতে বলবেন। ছবি হতে হবে ন্যাচারাল।
  • মুল পাসপোর্ট
  • পাসপোর্টের সাদাকালো ১কপি ফটোকপি (শুধুমাত্র ইনফরমেশন পেইজ)
  • এডমিসান লেটার
  • ১ বছরের ট্রাভেল হেলথ ইনস্যুরেন্স যেটা অবশ্যই ১ বছরে ৩০,০০০ ইউরো মেডিক্যাল কস্ট কভার করবে বাংলাদেশে  ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুমোদিতইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে হবে।
  • আপনার পরিবার প্রধানের মাসিক আর্থিক আয়ের প্রমাণ কপি। প্রতি মাসে আপনার পরিবার প্রধানের আয় কি রূপ হতে হবে তাঁর একটি ধারনা দিচ্ছি ধরুন আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৩জন(আপনি,আপনার বাবা,মা) সেক্ষেত্রে জন প্রতি ১৫৬ ইউরো করে ধরতে হবে অর্থাৎ ১৫৬*৩= ৪৬৮ ইউরো আপনার পরিবারের প্রধানের মাসিক আয় হতেই হবে। সে অনুযায়ী সদস্য সংখ্যা ৫ জন হলে ১৫৬*৫= ৭৮০ ইউরো মাসিক আয় হতে হবে। আপনার বাবা চাকুরীজীবী হলে তাঁর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মাসিক বেতনের কনফার্মেশন। যদি ব্যবসায়ী হয় সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স সহ ব্যবসায়িক মুনাফার প্রমাণ পত্র

অরিজিনাল শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সার্টিফিকেট (মাসিক আয়ের সাথে ১২ দিয়ে গুন করলে যে এমাউন্ট হবে সেটাই ব্যাল্যান্সে থাকতে হবে এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনার বাবা-মা অথবা ভাই এর হলে এর একটি এফিডেভিট কপি লাগবে।

যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।

zooFamily (community of aviation & travel)

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,হ্যাপি আর্কেড শপিং মল,ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ। মোবাইল নাম্বার: ০১৭৬৮২৩২৩১১