রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ

1569

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত যেসব স্থান ও স্থাপনাগুলো রয়েছে তারই মধ্যে প্রধান একটি স্থাপনা হলো ‘রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর- রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের হাতে অপহৃত হন আনোয়ার পাশা, জাহির রায়হান, শহীদুল্লা কায়সার, মুনীর চৌধুরী, আলতাফ মাহমুদ, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আব্দুল জব্বার, সেলিনা পারভীন, সিরাজুদ্দীন হোসেন সহ আরও অনেক বুদ্ধিজীবী। পেশায় কেউ ছিলেন, শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, আইনজীবী প্রমুখ।পরে তাদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।  বাংলাদেশি এসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে মিরপুর ‘রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’।

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার এ নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার স্থানে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। স্মৃতিসৌধের নকশা প্রণয়নের জন্য জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আহবান করে। ২২টি নকশার মধ্যে স্থপতি ফরিদউদ্দীন আহমেদ ও স্থপতি জামি-আল-শফি প্রণীত নকশাটি নির্বাচিত হয়। গণপূর্ত বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব লাভ করে। এ কাজ ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত তিন বছর সময়ে সম্পন্ন হয়। সমগ্র সৌধ কমপ্লেক্সটির আয়তন ছিল ৩.৫১ একর। মূল বেদিটি ভূমি থেকে ২.৪৪ মিটার উঁচু। দুই দিকের কোণার অংশে ভাঙা একটি ১১৫.৮২ মিটার দীর্ঘ অমসৃণ লাল দেয়াল সৌধটির অন্যতম প্রধান একটি অংশ। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়  ১৮ কোটি টাকা।

যেভাবে যাবেনঃ

ঢাকা শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে ফার্মগেইট কিংবা মোহাম্মদপুর আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিক্সা করে সরাসরি বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়া যায়।