প্রকৃতির এক অনন্য দান গোলাপ ফুল। গোলাপ ফুল পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কমই আছে। যেকোনো ফুল আমদের মন ভাল করে দেয় আর কোন মানুষের মন জয় করতে গোপাল ফুলের বিকল্প নাই। শুধু একটা দুইটা নয় চারিদিকে অসংখ্য গোলাপ ফুলের বাগানের দৃশ্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত সাভারের সাদুল্লাহ পুর গ্রামে। এই গ্রামটিই গোলাপ ফুলের গ্রাম নামে পরিচিত।
গ্রামের বুক চিরে চলে গেছে ইটের আঁকাবাঁকা সরু পথ। দু-পাশে বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান। ফুটে আছে টকটকে লাল গোলাপ। গ্রামের পর গ্রাম একই দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য যেদিকে চোখ যায় সারি সারি গোলাপ বাগান। লাল টকটকে গোলাপ মাথা নাড়িয়ে স্বাগত জানাবে তার রাজ্যে। বাতাসে ভেসে আসা ফুলের সৌরভ মন মাতাবে আপনার।গ্রামের ৯০ ভাগ লোকের পেশা গোলাপ চাষ। এখানে মূলত মিরান্ডা প্রজাতির লাল গোলাপের চাষ হয়। পুরো গ্রাম জুড়ে সারা বছরই হয় ফুলের চাষ। লাল গোলাপের পাশাপাশি রয়েছে সাদা গোলাপ, জারবেরা ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের বাগান।
দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাদুল্লাপুর ঘাটে যাওয়ার সময়টা সত্যি মনোমুগ্ধকর। ঘাটে সারিবদ্ধ নৌকা। নদীতে এগিয়ে চলে ধীরগতিতে সাদুল্লাপুর ঘাটের পাশে বিশাল একটি বটগাছ। শতবর্ষের এই গাছ ঢাকার নবাবদের স্মৃতি বহন করে চলছে। বটগাছের নিচে বসে হাট। চলে বেচাকেনা। এখানে মাসকলাইয়ের বড়া, মিরচিনি-মুরালি, দই, মিষ্টি অসাধারণ!
প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার ফুল বিক্রি হয় এখান থেকেই যা ঢাকার বাজারের ফুলের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ। ৩০০পিসের গোলাপ ফুলের আঁটি বিক্রি হয় ৩০০-৪০০ টাকায়। আপনি চাইলে ৫০-১০০ পিস নিজের জন্যও কিনে আনতে পারেন খুব সস্তায়।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস সার্ভিস আছে, যেগুলো মিরপুর বেড়িবাঁধে আসে। সেসব বাসে উঠে বটতলা ট্রলারঘাটে নামতে হবে। মিরপুর এক নম্বর গোল চত্বর কিংবা গাবতলী থেকে রিকশাতেই দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাওয়া যায়। ঘাট থেকে ট্রলার ছাড়ে ৩০ মিনিট পরপর। জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা দিতে হবে। হেঁটেই পুরো গ্রাম দেখা যায়। চাইলে রিকশা নিয়েও ঘুরে দেখতে পারেন।