সমুদ্র শহর রামুতে বহুজাতিক সংস্কৃতির ঢেউ লেগেছে সেই প্রাচীনকালে। হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রাচীন নিদর্শনের দেখা মিলবে এখানে। এই অঞ্চলে আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায় ও বাঙালিরা মিলেমিশে বাস করে। তাই সাংস্কৃতিক বহুত্ব ও বৈচিত্র্য রামুকে দেয় এক প্রগাঢ় স্নিগ্ধতা ও গভীরতা। পাহাড়ে মাথা, সমুদ্রে পা বিছিয়ে রাখা রামুর শান্ত সৌন্দর্য তাই পর্যটকদের মোহিত করেছে যুগে যুগে।
রামুতে অবস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন রামকোট তীর্থধাম।রামকোট বনাশ্রমের পার্শ্বেরপাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ৯০১ বাংলা সনে স্থাপিত। কথিত আছে, রাম চন্দ্র দেব সপ্তম অবতারে পিতৃ সত্য পালনে চৌদ্দ বছরের জন্য যখন বনবাসী হয়ে ছিলেন, তখন বন–বনান্তরে ঘুরতে ঘুরতে পঞ্চবটি বনে একটি কুটির স্থাপন করেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই কুটিরই হচ্ছে রামকোট তীর্থধাম। জনশ্রুতি আছে এখানে শীতার মরিচ বাটার পাটা আছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে সকল তীর্থ ভ্রমণের পর রামুর রামকোট তীর্থধামে সংরক্ষিত শিব দর্শনেই সকল পুণ্যের পুর্ণতা লাভ হয়।
যেভাবে যাবেনঃ-
রামু যেতে হলে কক্সবাজার আসার পথে রামু বাইপাসে আপনাকে নামতে হবে। ওখানে রাস্তার দুই পাশে সারি সারি ঝাউগাছ রামুর হয়ে আপনাকে স্বাগত জানাবে। অবশ্য কক্সবাজার থেকেও গাড়িতে ১৫ কিলোমিটার দূরের রামুতে আসা যায় যখন-তখন।