শহুরে জনজীবন এর একঘেয়েমী কাটাতে মানুষের প্রথম পছন্দ প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও নিরিবিলি কাটানো। ক্লান্তি এবং অবসন্নতা কাটাতে সবুজ শ্যামল পরিবেশের সংস্পর্শের তুলনা নেই। আপনার অবসর এবং কাজের স্ট্রেস হতে মুক্তি পেতে সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন শেরপুরের রাজার পাহাড়। নিরিবিলি সবুজ শ্যামল বাংলার প্রতিচ্ছবি বুকে নিয়ে বেড়ে উঠছে এই রাজার ও সংলগ্ন এলাকা। নিবিড় সজীবতার মাঝে একান্তে সময় কাটিয়ে ফুরফুরে আর সতেজ হয়ে ফিরতে পারেন আপনার প্রাত্যহিক জীবনে।
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের বালিজুরি রেঞ্জের মালাকোচা বিটের এ নয়াবাড়ির টিলা। প্রায় এক হাজার একর জুড়ে বিশাল উঁচু ও সমতল এ টিলা ভূমি। যার চারিদিকে ছোট ছোট কয়েকটি টিলা ভূমি যেন এর সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বন বাগান করা হতো। কিন্তু ক’বছর কাঠ চুরির কারণে এখানের বন বাগান উজার হয়েছে। এসব পরিত্যক্ত ভূমিতে আশপাশের লোকজন আদা, হলুদ, বেগুনসহ সবজির চাষাবাদ করছেন। নয়াবাড়ির টিলার পূর্বে হালুহাটি, দক্ষিণে মালাকোচা, পশ্চিমে হাতিবর ও উত্তরে ভারতের সীমানা। ভারতের পোড়াকাশিয়া এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরেই বন্যহাতির একটি পাল পাহাড়ে আসে। দিনের বেলায় আশপাশের এলাকার ঝোঁপ জঙ্গলে থাকে আর রাতে হানা দেয় জনবসতি এলাকায়।
এসব হাতি দেখতে প্রতিদিন শতশত লোক যাচ্ছে ওই টিলায়। নয়ানিভিরাম পাহাড়ি টিলায় লোকজনের সমাগমে যেন গড়ে ওঠছে এক পর্যটন এলাকা। অনেকে আবার প্রশ্নও তুলেন এখানে কেন পর্যটন করা হচ্ছেনা। কারণ হিসেবে বলেন, এখানে প্রকৃতিকভাবেই গড়ে ওঠেছে সৌন্দর্য্যময়ী পাহাড়ি টিলা। চোখ ধাধাঁনো আর মনকে কেড়ে নেয়ার মতো ভ্রমণ পিপাসুদের টিলায় নতুন করে দেখার সুযোগ হচ্ছে বন্যহাতির বিচরণ। কিভাবে বন্যহাতি দলবেধেঁ থাকে? কিভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করে? কোন হাতির নেতৃত্বে তারা এক স্থান থেকে অন্যত্র যায়। সবই যেন বিচিত্র মনে হবে।
কিভাবে যাবেন:-
সড়ক পথে ঢাকা হতে শেরপুরের দূরত্ব ২০৩ কিলোমিটার। ঢাকার মহাখালি বাস স্টেশন থেকে শেরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসে শেরপুর আসা যায়। শেরপুর শহর থেকে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কর্ণজোড়া বাজার। বাস, টেম্পুসহ যেকোন পরিবহণে আসতে পারেন এখানে।