পোল্যান্ড সেনজেন ভিসা প্রসেসিং

1851

পোল্যান্ড সেনজেন ভিসা প্রসেসিং

 

মধ্য ইউরোপের সার্বভৌম দেশ পোল্যান্ড। ১৬টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ এটি। এর পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুশ এবং উত্তরে বাল্টিক সাগর, লিথুয়ানিয়া ও রাশিয়া অবস্থিত। বাল্টিক সাগরে পোল্যান্ডের সঙ্গে ডেনমার্কের জলসীমা রয়েছে। প্রায় এক হাজার বছর আগে পিয়াস্ট রাজবংশের অধীন রাজ্য হিসেবে পোল্যান্ড সর্বপ্রথম সংগঠিত হয়। ষোড়শ শতকের শেষ ভাগকে পোল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা হয়। এ সময় জাগিয়েলনীয় রাজবংশের অধীনে পোল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে বড়, সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। একসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও প্রুশিয়া রাষ্ট্রটিকে দখল করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়।পোল্যান্ড সেনজেন ভিসা প্রসেসিং

১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর পোল্যান্ড আবার স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অবশ্য পোল্যান্ড তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীন কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৮৯ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটে। বর্তমানে পোল্যান্ড একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৯৭ সালে এর নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। সাবেক কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল। ২০০০ সালের পর বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দেয় তার ছাপ পোল্যান্ডের ওপর পড়েনি।

একনজরে

পুরো নাম : পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র।

রাজধানী ও সর্ববৃহত্ শহর : ওয়ারশ।

দাপ্তরিক ভাষা : পোলিশ।

জাতিগোষ্ঠী : ৯৪.৬১ শতাংশ পোলিশ।

ধর্ম : মূলত খ্রিস্টান।

সরকার পদ্ধতি : ইউনিটারি সেমি-প্রেসিডেনশিয়াল রিপাবলিক।

প্রেসিডেন্ট : আন্দ্রেজ দুবা।

প্রধানমন্ত্রী : মাতেওসজ মোরাউইকি।

আইনসভা : জাতীয় পরিষদ, উচ্চকক্ষ সিনেট,

নিম্নকক্ষ সেজম।

আয়তন : তিন লাখ ১২ হাজার ৬৭৯ বর্গকিলোমিটার।

জনসংখ্যা : তিন কোটি ৮৪ লাখ ২২ হাজার।

ঘনত্ব : প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১২৩ জন।

জিডিপি : মোট এক হাজার ১১০ বিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু ২৯ হাজার ২৫০ ডলার।

মুদ্রা : জুয়োতে।

জাতিসংঘে যোগদান : ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫।

ভ্রমনের জন্য পোল্যান্ড একটি সুন্দর দেশ । ভিসার জন্য কিছু কাগজপত্র লাগে নিচে দেওয়া আছে।

 

পোল্যান্ড সেনজেন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে)
  • সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি ছবি। সাদা পটভূমিতে ছবি তুলতে হবে, চোখে কালো চশমা বা মাথায় টুপি জাতীয় কিছু রাখা যাবে না আর ছবিতে অবশ্যই পুরো মুখমণ্ডল আসতে হবে।
  • ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
  • পাসপোর্টের ডাটা পেজগুলোর ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।
  • অন্তত ৩০ হাজার ইউরো মূল্যমানের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হবে।
  • জমা দেয়া প্রতিটি কাগজের মূলকপির সাথে একটি করে ফটোকপিও দিতে হবে।
  • আবেদনপত্রের ভাষা অথবা ফর্মের ঘরগুলো ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। সুইডিশ, ডেনিশ, অথবা নরওয়েজিয়ান ভাষাতেও পূরণ করা যাবে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা মা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতিপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকে অবশ্যই দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
  • প্রতিটি ভিসার জন্য প্রায় ৬০ ইউরো সমপরিমাণ টাকা এডমিনিস্ট্রেশন ফি হিসেবে জমা দিতে হয়। ভিসা সাক্ষাতকারের পরপরই এই ফি দিতে হয়।

বিজনেস ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

  • ভ্রমণকারীর পোল্যান্ডস্থ কোম্পানির পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের মূলকপি প্রয়োজন হবে। এই আমন্ত্রণপত্র অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় হতে হবে।
  • ভ্রমণকারী বাংলাদেশের যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ভ্রমণে যাচ্ছেন সে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের তরফে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে লেখা চিঠি জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের মালিকের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
  • বিগত তিন মাসে কোম্পানির ব্যাংক হিসাব বিবরণী।
  • কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন অথবা মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • বাংলাদেশে এবং বাইরে লেনদেনের তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পোল্যান্ড আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
    – হোটেলের ঠিকানাসহ হোটেল রিজার্ভেশন এবং
    –  স্টল বরাদ্দ হয়ে থাকলে এক্সিবিটর পাস।

আমাদের ভিসা প্রসেসিং ফি  ১৮০০টকা (অর্থ প্রদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

পোল্যান্ড সেনজেন ভিসার জন্য চার্জ (বিজনেস ভিসার জন্য):

ভিসা ভিসা ফী
সেনজেন ভিসা ৬৫০০ টাকা
দীর্ঘ দিন অবস্থানের জন্য ৬৫০০ টাকা
শিশুদের জন্য (৬ – ১২ বছর) ৩৮০০ টাকা
৬ বছরের ছোট শিশুদের জন্য কোন ভিসা ফী লাগবে না

* ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য, ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

 

বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করতে যেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

  • যার সাথে দেখা করতে যাওয়া হচ্ছে তার সাক্ষরিত গ্যারান্টর ফরম,
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),
  • হোটেল বুকিং (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। হোটেল বুকিং কনফার্মেশনের ই-মেইল প্রিন্ট আউট গৃহীত হয় না।
  • অন্তত বিগত তিন মাস সময়কালে ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী,
  • ভ্রমণকারী যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন তার সাথে সম্পর্কর প্রমাণপত্র এবং
  • ফ্লাইট রিজার্ভেশন কপি।

 

পোল্যান্ড সেনজেন ভিসার জন্য চার্জ
(
বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করতে):

ভিসা ভিসা ফী
সেনজেন ভিসা ৬৫০০ টাকা
দীর্ঘ দিন অবস্থানের জন্য ৬৫০০ টাকা
শিশুদের জন্য (৬ – ১২ বছর) ৩৮০০ টাকা
৬ বছরের ছোট শিশুদের জন্য কোন ভিসা ফী লাগবে না

* ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য, ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

 

ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • হোটেল বুকিং (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। হোটেল বুকিং কনফার্মেশনের ই-মেইল প্রিন্ট আউট গৃহীত হয় না।
  • ভ্রমণকারী কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে চলেছেন তার বিস্তারিত।
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • অন্তত বিগত তিন মাস সময়কালে ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী।

 

পোল্যান্ড সেনজেন ভিসার জন্য চার্জ (ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে):

ভিসা ভিসা ফী
সেনজেন ভিসা ৬৪০০ টাকা
দীর্ঘ দিন অবস্থানের জন্য ৬৪০০ টাকা
শিশুদের জন্য (৬ – ১২ বছর) ৩৭৫০ টাকা
৬ বছরের ছোট শিশুদের জন্য কোন ভিসা ফী লাগবে না

* ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য, ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

 

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • পোল্যান্ড ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগে ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়া উচিত।
  • সাধারণত ১২-১৫ কর্মদিবসের মধ্যেই পোল্যান্ড ভিসা ইস্যু হয়ে যায়। তবে কখন কখন ১ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
  • ভিসা ইস্যু হওয়ার পর পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়ই ভিসা কিভাবে দেয়া হয়েছে সেটা দেখে নেয়া উচিত। কোন সমস্যা থাকলে সাথে সাথেই ভিসা কাউন্টারে জানাতে হবে।
  • শুধু ভিসা আবেদনের সময়ই নয়, পোল্যান্ড প্রবেশের সময়ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হয়। কারণ সেনজেন ভিসাই পোল্যান্ড প্রবেশের একমাত্র নিশ্চয়তা নয়। তাই আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ ভ্রমণের সময় সাথে রাখতে হবে।

যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।

zooFamily (community of aviation & travel)

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,হ্যাপি আর্কেড শপিং মল,ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ। মোবাইল নাম্বার: ০১৭৬৮২৩২৩১১